হাওড়া, 22 জানুয়ারি: সোমবার বেলা 12টা থেকে 12টা 30 মিনিটের মধ্যে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন ও রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হয়। এদিন প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় গর্ভগৃহে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ৷ আর এদিনই বিকেলে দক্ষিণ কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সম্প্রীতি-সংহতির মিছিল করেন। সেই মিছিলকেই তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সন্ধ্যায় হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'ভোট ভিখারিণী' ও 'কাঙালিনী' বলে কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা।
এদিন তিনি বলেন, "ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান দেখছেন, উত্তরাখণ্ডের কংগ্রেসের রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করেছেন। আর এই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী নিজের ভোট ব্যাংক বাঁচানোর জন্য সম্প্রীতি মিছিল করছেন। আজকে যে ভাষাতে উনি কথা বলেছেন তাতে এই ধরণের ভোট ভিখারিণী, ভোট কাঙালিনী, দাঙ্গাবাজ খুঁজে পাবেন না। আজকে হিন্দু থেকে শুরু করে শিখ, পার্সি, বাঙালি মুসলিমরাও ওই মিছিলকে উপেক্ষা করেছেন, আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।" একই সঙ্গে, শুভেন্দু আরও বলেন, "কিছু তালিবান সমর্থকরা ওই মিছিলে গিয়েছেন, আর কেউ জানে না ! শ্যামাপ্রসাদের সংগ্রামে পাওয়া বাংলায় ভোটের জন্য, চুরি করার অবাধ লাইসেন্স পাওয়ার জন্য, মমতা আর তাঁর চোর ভাইপো যে কাজ রাম মন্দির নিয়ে বাংলাতে করছে সেটা খুবই উদ্বেগজনক। এখনও যদি বাংলার সনাতনীরা, রাষ্ট্রবাদী হিন্দু- মুসলিমরা সংঘবদ্ধ না হয় তাহলে আগামীদিনে গঙ্গার ঘাটে সন্ধ্যা আরতি করতে পারবো না।"
শুভেন্দু আরও বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর মিছিলে 2 হাজার 200 লোকও ছিল না। সোমবার সকালে আমি রাম নামের মিছিল করেছি তাতে শীতের সকালেও কলকাতায় 15 হাজারের বেশি লোক হেঁটেছে। নব্বই উর্দ্ধ প্রবীণরাও জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে মিছিলকে স্বাগত করেছে।" প্রসঙ্গত, এদিন সেন্ট্রাল অ্য়াভিনিউতে রাম মন্দির পর্যন্ত মিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ যে মিছিলের নাম ছিল 'অকাল বোধন' ৷
আরও পড়ুন