ETV Bharat / international

'আমেরিকা দেউলিয়া হয়ে যাবে', আশঙ্কিত ইলন মাস্ক - AMERICA WILL GO BANKRUPT

জনগণের থেকে আদায়কৃত কর নিয়ে তা যথেচ্ছাচার ভাবে খরচ করা হচ্ছে ৷ দুর্নীতি হয়েছে, দাবি করলেন আমেরিকা প্রেসিডেন্ট ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্ক ৷

President Donald Trump and Elon Musk with his son
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ইলন মাস্ক ও তাঁর ছেলে (ছবি সৌজন্য: হোয়াইট হাউজ এক্স হ্যান্ডেল)
author img

By ANI

Published : Feb 19, 2025, 4:33 PM IST

ওয়াশিংটন, 19 ফেব্রুয়ারি: করদাতাদের টাকা যেভাবে খরচ হচ্ছে, তাতে দেউলিয়া হবে আমেরিকা ! এর জন্য দায়ী পূর্বতন বাইডেনের ডেমোক্রেটিক প্রশাসন ৷ আমেরিকার স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মিডিয়া ফক্স নিউজ টেলিকাস্টকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে আমেরিকার খরচ নিয়ে এভাবেই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ধনকুবের তথা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ ইলন মাস্ক ৷

জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স-এর কর্ণধার মাস্ক আশঙ্কা প্রকাশ করেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তরাধিকার সূত্রে 2 ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বাণিজ্যিক ঘাটতি পেয়েছেন ৷ এই ঘাটতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে না-পারলে আমেরিকা একদিন দেউলিয়া হয়ে যাবে ৷

কোষাগার থেকে অন্যান্য দেশে মার্কিন অর্থসাহায্য বন্ধ করেছে দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসন ৷ ইউএআইডি-র খরচ কমানোই প্রশাসনের উদ্দেশ্য ৷ এই খাতে গরিব দেশগুলিকে বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী প্রজেক্টে সাহায্য করত আমেরিকা ৷ কিন্তু, ট্রাম্প প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ইলন মাস্ক এই ইউএসআইডি-র খরচ নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন ৷ তিনি বলেন, "সাধারণ আমেরিকান, যিনি কর দিচ্ছেন, তিনি যদি দেখেন তাঁর টাকা কীভাবে অপচয় হচ্ছে, তাহলে তাঁর অবস্থা নরকে গিয়ে পাগল হওয়ার মতোই হবে ৷"

মাস্ক আরও বলেন, "সর্বোপরি লক্ষ্য হল এই ট্রিলিয়ন ডলারের ঘাটতি কমিয়ে আনা ৷ এই ঘাটতি কমানো না-গেলে আমেরিকা দেউলিয়া হয়ে যাবে ৷ এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ৷ মানুষকে বুঝতে হবে ৷ দেশ ও তাঁর একজন নাগরিকের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই ৷ একজন নাগরিক যদি প্রয়োজনের বেশি খরচ করেন, তাহলে তিনি দেউলিয়া হয়ে যাবেন এবং সেইভাবে দেশও ৷ অর্থের ব্যাপক অপচয় হচ্ছে, জালিয়াতি হচ্ছে ৷ এর ফলেই বছরে 2 ট্রিলিয়ন ঘাটতি তৈরি হয়েছে ৷ 20 জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পর তিনি (প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প) এটাই পেয়েছেন ৷"

মাস্কের কথায় সায় দেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও ৷ তিনি বলেন, "দেখুন, আবার মূল্যস্ফীতি ফিরে এসেছে ৷ আমার তো কিছু করার নেই ৷ ওরা (বাইডেন প্রশাসন) এতদিন ধরে দেশটা চালিয়েছে ৷ ওরা যেভাবে টাকা খরচ করেছে, যা কেউ করে না ৷ 9 ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার স্রেফ জানলা দিয়ে বাইরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে ৷ ওরা এটা গ্রিন নিউ স্ক্যাম-এ খরচ করেছে ৷ আমি এটাই বলব ৷ এটা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্নীতি ৷"

এই প্রসঙ্গেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইলন মাস্কের প্রশংসা করেন ৷ তিনি বলেন, "ইলন মাস্ক এবং তাঁর ডিওজিই দারুণ কাজ করছে ৷ ওরা কয়েকশো বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি খুঁজে পেয়েছে ৷ তিনি দারুণ কাজ করছেন ! তিনি তরুণ, খুব ঝকঝকে একটা মানুষ ৷ আমি তো তাঁদের উচ্চ-আইকিউ ব্যক্তিত্ব বলি ৷"

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ 'ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি' (ডিওজিই) গঠন করেছেন ৷ এই দফতরের প্রধান ইলন মাস্ক ৷ সরকারের খরচ কমাতে তিনি হাজার হাজার ফেডারেল কর্মচারীকে ছাঁটাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ৷ স্বভাবতই এনিয়ে ইতিমধ্যে দেশের অভ্যন্তরে বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে ৷

এর তীব্র সমালোচনা করেন ইলন মাস্ক ৷ প্রেসিডেন্টের নির্দেশ কার্যকর করতে না-দেওয়ার জন্য আমলাদের দুষেছেন বিক্ষুব্ধ ডেমোক্র্যাটরা ৷ সাক্ষাৎকারে ইলন মাস্ক জানান, তাঁরা প্রেসিডেন্টের মাধ্যমে মানুষের ইচ্ছা পূরণ করতে চাইছেন ৷ জনগণের প্রতিনিধি প্রেসিডেন্ট ৷ তাঁর নির্দেশ কার্যকর করতে না-দেওয়ার অর্থ গণতন্ত্রে নয়, আমলাতন্ত্রে বসবাস করো ৷ তিনি অভিযোগ করেন, বিশাল সংখ্যায় আমলারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাঁর ক্যাবিনেটের বিরোধিতা করছেন ৷

ওয়াশিংটন, 19 ফেব্রুয়ারি: করদাতাদের টাকা যেভাবে খরচ হচ্ছে, তাতে দেউলিয়া হবে আমেরিকা ! এর জন্য দায়ী পূর্বতন বাইডেনের ডেমোক্রেটিক প্রশাসন ৷ আমেরিকার স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মিডিয়া ফক্স নিউজ টেলিকাস্টকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে আমেরিকার খরচ নিয়ে এভাবেই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ধনকুবের তথা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ ইলন মাস্ক ৷

জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স-এর কর্ণধার মাস্ক আশঙ্কা প্রকাশ করেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তরাধিকার সূত্রে 2 ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বাণিজ্যিক ঘাটতি পেয়েছেন ৷ এই ঘাটতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে না-পারলে আমেরিকা একদিন দেউলিয়া হয়ে যাবে ৷

কোষাগার থেকে অন্যান্য দেশে মার্কিন অর্থসাহায্য বন্ধ করেছে দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসন ৷ ইউএআইডি-র খরচ কমানোই প্রশাসনের উদ্দেশ্য ৷ এই খাতে গরিব দেশগুলিকে বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী প্রজেক্টে সাহায্য করত আমেরিকা ৷ কিন্তু, ট্রাম্প প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ইলন মাস্ক এই ইউএসআইডি-র খরচ নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন ৷ তিনি বলেন, "সাধারণ আমেরিকান, যিনি কর দিচ্ছেন, তিনি যদি দেখেন তাঁর টাকা কীভাবে অপচয় হচ্ছে, তাহলে তাঁর অবস্থা নরকে গিয়ে পাগল হওয়ার মতোই হবে ৷"

মাস্ক আরও বলেন, "সর্বোপরি লক্ষ্য হল এই ট্রিলিয়ন ডলারের ঘাটতি কমিয়ে আনা ৷ এই ঘাটতি কমানো না-গেলে আমেরিকা দেউলিয়া হয়ে যাবে ৷ এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ৷ মানুষকে বুঝতে হবে ৷ দেশ ও তাঁর একজন নাগরিকের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই ৷ একজন নাগরিক যদি প্রয়োজনের বেশি খরচ করেন, তাহলে তিনি দেউলিয়া হয়ে যাবেন এবং সেইভাবে দেশও ৷ অর্থের ব্যাপক অপচয় হচ্ছে, জালিয়াতি হচ্ছে ৷ এর ফলেই বছরে 2 ট্রিলিয়ন ঘাটতি তৈরি হয়েছে ৷ 20 জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পর তিনি (প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প) এটাই পেয়েছেন ৷"

মাস্কের কথায় সায় দেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও ৷ তিনি বলেন, "দেখুন, আবার মূল্যস্ফীতি ফিরে এসেছে ৷ আমার তো কিছু করার নেই ৷ ওরা (বাইডেন প্রশাসন) এতদিন ধরে দেশটা চালিয়েছে ৷ ওরা যেভাবে টাকা খরচ করেছে, যা কেউ করে না ৷ 9 ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার স্রেফ জানলা দিয়ে বাইরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে ৷ ওরা এটা গ্রিন নিউ স্ক্যাম-এ খরচ করেছে ৷ আমি এটাই বলব ৷ এটা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্নীতি ৷"

এই প্রসঙ্গেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইলন মাস্কের প্রশংসা করেন ৷ তিনি বলেন, "ইলন মাস্ক এবং তাঁর ডিওজিই দারুণ কাজ করছে ৷ ওরা কয়েকশো বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি খুঁজে পেয়েছে ৷ তিনি দারুণ কাজ করছেন ! তিনি তরুণ, খুব ঝকঝকে একটা মানুষ ৷ আমি তো তাঁদের উচ্চ-আইকিউ ব্যক্তিত্ব বলি ৷"

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ 'ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি' (ডিওজিই) গঠন করেছেন ৷ এই দফতরের প্রধান ইলন মাস্ক ৷ সরকারের খরচ কমাতে তিনি হাজার হাজার ফেডারেল কর্মচারীকে ছাঁটাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ৷ স্বভাবতই এনিয়ে ইতিমধ্যে দেশের অভ্যন্তরে বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে ৷

এর তীব্র সমালোচনা করেন ইলন মাস্ক ৷ প্রেসিডেন্টের নির্দেশ কার্যকর করতে না-দেওয়ার জন্য আমলাদের দুষেছেন বিক্ষুব্ধ ডেমোক্র্যাটরা ৷ সাক্ষাৎকারে ইলন মাস্ক জানান, তাঁরা প্রেসিডেন্টের মাধ্যমে মানুষের ইচ্ছা পূরণ করতে চাইছেন ৷ জনগণের প্রতিনিধি প্রেসিডেন্ট ৷ তাঁর নির্দেশ কার্যকর করতে না-দেওয়ার অর্থ গণতন্ত্রে নয়, আমলাতন্ত্রে বসবাস করো ৷ তিনি অভিযোগ করেন, বিশাল সংখ্যায় আমলারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাঁর ক্যাবিনেটের বিরোধিতা করছেন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.