মানকুণ্ডু, 10 এপ্রিল: "শাহজাহানকে বাংলাদেশের সরকারের কাছে আবেদন করুক", বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ মঙ্গলবার হুগলির মানকুণ্ডুতে জনসংযোগে এসে তৃণমূলকে তুলোধনা করেন তিনি ৷ বাদ যায়নি শাহজাহান প্রসঙ্গ ৷ দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের বাইরে তৃণমূলের সাংসদ, নেতাদের ধরনা প্রত্যাহার নিয়ে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা বলেন, "দিল্লি পুলিশের লাঠির দৈর্ঘ্য 6 ফুট ৷"
উত্তর 24 পরগনার সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাড়ি ও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ৷ যদিও সে দাবি করেছে তার নিজের জমি-বাড়ি নেই ৷ বাজেয়াপ্ত হয়ে গিয়েছে ৷ এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু সাংবাদিকদের বলেন, "বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করুক শাহজাহান ৷ সে বাংলাদেশে ছিল ৷" সেখান থেকে ভারতে নিয়ে আসা প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক বাম নেতা নিরাপদ সর্দারের প্রসঙ্গ টানেন বিরোধী দলনেতা ৷ তিনি বলেন, "সিপিএম নেতা নিরাপদ সর্দার শাহজাহানকে আনিয়েছেন ৷ এসব সিপিএমের প্রোডাক্ট ৷ 2013 সালের সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিল ৷ শাহজাহানের নেতার নাম ওসলেম শেখ ৷ তিনিও ওখানে ভোট লুট করতেন ৷ তিনি সেখানে ছাত্র সংগঠন করতেন ৷"
তবে শাহাজাহানকে উদ্বাস্তু হিসাবে নিয়ে আসা হয়নি ৷ এই বিষয়ে শুভেন্দু নিজের মায়ের কথা উল্লেখ করেন ৷ বিজেপি বিধায়ক বলেন, "উদ্বাস্তু শরণার্থী হিসাবে তাকে আনা হয়নি ৷ যেমন আমার মা বরিশাল থেকে এসেছেন ৷ বাংলাদেশ থেকে গুন্ডা হিসেবে ভাড়া করে আনা হয়েছিল ৷ এটা করেছিল সিপিএমের নিরাপদ সর্দার ৷"
দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের বাইরে তৃণমূলের ধরনা প্রত্যাহারের কারণ নিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, "দিল্লি পুলিশের লাঠির সাইজ 6 ফুট ৷ তৃণমূল নেতারা গরমে এসি ছাড়া এবং খুব দামি ঘর, কমোড, দামি সুরা পান ছাড়া থাকতে পারেন না ৷ বিলাসবহুল জীবন যাপন করে ৷ তাই তৃণমূল নেতারা মশা-মাছিতে বাইরে পড়ে থাকা, জেলের ভিতরে থাকা, এগুলো খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার। বাড়িতে 1 কোটি টাকা দামের ঝাড়বাতি বসে, এস্কালেটর থাকে তারা কখনও এই কষ্ট স্বীকার করতে পারে না ৷ তাই গরম যত বাড়ছে ততই এসিতে যাওয়ার ইচ্ছা হয়েছে ৷ তাই উঠে পালিয়ে এসেছে ৷ দিল্লি পুলিশে বিনীত গোয়েল, মনোজ মালব্য, রাজীব কুমার, অমিত জাভালগীরা নেই ৷ দিল্লি পুলিশ অমিত শাহজির দফতরের হাতে ৷ এর আগে রাজঘাটে, কৃষি ভবনে অসভ্যতামি করেছিল ৷ ডান্ডার বাড়ি খেয়েছে ৷ সেটা মনে পড়ে গিয়েছে, তাই উঠে পালিয়ে এসেছে ৷"
বিজেপির সুমন কাঞ্জিলালকে পিএসির চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়েছে ৷ এ বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "অধ্যক্ষ বা যে-ই করে থাকুন, আগামিকাল নির্বাচন কমিশনে জানাব ৷ ইতিমধ্যে দার্জিলিং পৌরসভায় তিনটি নিয়োগ হয়েছিল ৷ রাজু বিস্তার অভিযোগে সেগুলি বাতিল হয়েছে ৷ তিনি যত বড় পোস্টেই থাকুন না কেন, নির্বাচন আচরণবিধি চলাকালীন সুমন কালজিলাল বিজেপির বিধায়ক এভাবে রাজনৈতিক অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া যায় না ৷ নির্বাচন কমিশনের সিআইও স্পেশাল অবজারভারকে সচিব ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হবে ৷"
আরও পড়ুন: