কলকাতা, 5 ডিসেম্বর: ধর্মতলার সাধুদের মঞ্চ থেকে অখণ্ড ভারত গড়ার ডাক দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । সেই মঞ্চ থেকে তিনি ‘হিন্দু তুমি জাগো’ বলেও স্লোগান তোলেন ৷
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার এবং চিন্ময়কৃষ্ণ দাস-সহ সমস্ত সন্ন্যাসীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং পশ্চিমবঙ্গে বিপন্ন সনাতনীদের রক্ষার্থে বৃহস্পতিবার রাণী রাসমণি রোডে এক জনসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল । সাধুসন্ত সমাজের 50টি সংগঠন এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করে । যদিও এটি একটি অরাজনৈতিক সমাবেশ ছিল ৷ তবে এই মঞ্চে আজ উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ।
সেখান থেকেই তিনি অখণ্ড ভারত গড়ার ডাক দেন ৷ একই সঙ্গে বাংলার সনাতনী সমাজের পাশাপাশি দেশের সমগ্র হিন্দুদেরও এক হওয়ার বার্তা দেন তিনি । তিনি বলেন, ‘‘বাংলার হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি । কারণ, এক থাকলেই সবাই সুরক্ষিত থাকবে । এই লড়াই অস্তিত্বের লড়াই । এই লড়াই জিততেই হবে ।’’ একই সঙ্গে তিনি ভারতে সনাতনীদের জন্য পৃথক বোর্ড গঠনের প্রস্তাব দেন ৷
এমনকি বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা । তাঁর কথায়, বাংলাদেশের অর্থনীতি ভারতের উপর নির্ভরশীল । বাংলাদেশ থেকে ভারতে আমদানি হয় মাত্র 11.25 বিলিয়ন ৷ অন্যদিকে সুতো থেকে শুরু করে আলু-পেঁয়াজ আনাজের মতো প্রায় 97 ধরনের সামগ্রী রফতানি করা হয় । তাই সাত দিন বাণিজ্য বন্ধ রাখলে বাংলাদেশ বুঝতে পারবে বলে মনে করেন শুভেন্দু অধিকারী ।
বড়তলা থানায় শুভেন্দুর বিক্ষোভ
এদিকে এদিন কলকাতার বড়তলা থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী দলনেতা ৷ সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্তকে অকারণে হেনস্তা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলেন তিনি ৷ তাঁর সঙ্গে বিজেপির 15 জন বিধায়কও উপস্থিত ছিলেন ৷ সেখানে পঙ্কজ দত্তর মৃত্যুর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে দায়ী করেন বিরোধী দলনেতা ৷
তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রয়াত প্রাক্তন পুলিশনকর্তা পঙ্কজ দত্তকে বড়তলা থানায় দেখে পাঠানো হয়েছিল । তারপর সারাদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল । তাই প্রাক্তন আইজির মৃত্যুর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা নগরপাল এবং বড়তলা থানার ওসি দায়ী ।
তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে প্রথমে ক্যাবিনেটে কমিশন বসিয়ে বড়তলা থানার পুলিশ আর যাঁদের নির্দেশে করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠিন ও কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে । সরকার পরির্বতন হলে ন্যায় কী করে পাওয়া যায়, সেটা বিজেপি প্রমাণ করে দেবে ।’’
পঙ্কজ দত্ত প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন ‘‘এই বটতলা থানায় তাঁকে 10 ঘণ্টা হেনস্তা করা হয়েছিল । এমনকি তাঁকে খবর জল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি ।’’