নয়াদিল্লি, 29 জানুয়ারি: নতুন করে তদন্তের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা ৷ বুধবার, সেই আবেদন প্রত্যাহার করে নিলেন তাঁরা ৷ এদিন আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তাঁদের ফের আবেদন জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন ৷
দেশের শীর্ষ আদালত আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মায়ের পক্ষের আইনজীবীকে জানান, কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত একটি মামলা চলছে ৷ এই অবস্থায় এই মামলাটির শুনানি সুপ্রিম কোর্টে হবে কি না, তা জানতে চান প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ৷ অন্যদিকে, মামলাকারী পক্ষের আইনজীবীকে হলফনামা জমা দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ ৷
ইতিমধ্যে আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ৷ তাকে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দিয়েছেন শিয়ালদহ দায়রা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস ৷ তাই সেই দিকটি মাথায় রেখে আদালতে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ৷ নির্যাতিতার বাবা-মা এবার নতুন করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারেন । এমনই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷
এছাড়া এদিন আরজি করের প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারী চিকিৎসকদের হাসপাতালে উপস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেন দুই বিচারপতি ৷ নয়াদিল্লির এইমস-সহ দেশের সব হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যে সমস্ত চিকিৎসকরা আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করায় হাসপাতালে অনুপস্থিত ছিলেন তাঁদের উপস্থিত বলে ধরতে হবে ৷
চিকিৎসকদের কয়েকটি সংগঠন আদালতে জানায় যে, 2024 সালের 22 অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারী চিকিৎসকদের অনুপস্থিতিকে নিয়মিত করার বিষয়ে যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা কোনও কোনও হাসপাতাল কার্যকর করলেও, অনেক হাসপাতাল প্রতিবাদকারী চিকিৎসকদের খাতায়-কলমে এখনও অনুপস্থিত রেখেছে ৷ এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন, "প্রতিবাদকারী চিকিৎসকরা যদি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে কাজে যোগ দিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁদের অনুপস্থিতিকে নিয়মিত হিসাবে গ্রাহ্য করতে হবে ৷" তবে এই নির্দেশকে যে আগামিদিনের অন্য কোনও ঘটনার নজির হিসেবে ধরা যাবে না সেটাও জানিয়েছে আদালত।