কলকাতা, 30 জানুয়ারি: স্যালাইন-কাণ্ডে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় এবার সিআইডি'র স্ক্যানারে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের সাতজন চিকিৎসক । তাঁরা প্রত্যেকেই জুনিয়র চিকিৎসক বলে জানা গিয়েছে । ইতিমধ্যেই ওই সাতজন চিকিৎসককে বৃহস্পতিবার ভবানী ভবনে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তাঁদের বয়ান রেকর্ড করেছেন সিআইডির তদন্তকারীরা । এই নিয়ে মোট 11 জন চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল স্যালাইন-কাণ্ডে ৷
মূলত এর আগে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের দুই সিনিয়র চিকিৎসককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ভবানী ভবনে । পাশাপাশি তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয় বলে জানা গিয়েছে । তার মধ্যে ছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের রেসিডেন্ট মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) চিকিৎসক সৌমেন দাস ৷ স্যালাইন-কাণ্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি ৷
এই বিষয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিআইডি-র এক আধিকারিক বলেন, "তদন্তের স্বার্থে এই সকল চিকিৎসকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা এবং তাঁদের বয়ান বা বক্তব্য রেকর্ড করে সেইগুলি যাচাই করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ৷"
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে সেখানকার 12 জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে । মোট 6 জন সিনিয়র ডাক্তার এবং 6 জন জুনিয়র ডাক্তার রয়েছে সেই তালিকায় । এই 12 জনের মধ্যে আছেন মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালের সুপারও । এরপর স্যালাইন-কাণ্ডে ভবানী ভবনে সাতজন চিকিৎসককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ৷
তবে মেদিনীপুরে স্যালাইন-কাণ্ডে ভবানী ভবনে ডেকে চিকিৎসকদের জিজ্ঞাসাবাদ এই প্রথম নয়, এর আগেও চারজন চিকিৎসককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ গত শনিবার এই ঘটনায় হিমাদ্রি নায়ক এবং দিলীপকুমার পালকে ডেকে পাঠান সিআইডির আধিকারিকরা । মূলত এই দুই চিকিৎসক ঘটনার দিন অপারেশন থিয়েটারে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে । সেদিনের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রত্যেক চিকিৎসকের নামে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করেছে সিআইডি ।