ওয়াশিংটন, 30 জানুয়ারি: ভারতের জন্য যে মার্কিন নীতিগুলি রয়েছে, তা পর্যালোচনা করবে সেদেশের বিদেশ বিষয়ক হাউস কমিটি ৷ একই সঙ্গে শক্তিশালী এই কমিটি পর্যালোচনা করবে দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সম্পর্ক আগামিদিনে অব্যাহত থাকবে কি না ৷ তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের বিষয়টি । আমেরিকার বর্তমান কংগ্রেসের বিদেশ বিষয়ক হাউস কমিটির অগ্রাধিকারের 11তম তালিকায় রয়েছে ভারত ।
কমিটি বলেছে, "আমরা ভারতের জন্য মার্কিন নীতি পর্যালোচনা করব ৷ পাশাপাশি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় মার্কিন প্রতিপক্ষের প্রভাব মোকাবিলায় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে কি না, সেই বিষয়েও পর্যালোচনা করা হবে । বিশেষভাবে নজর দেওয়া হবে মার্কিন-ভারত প্রতিরক্ষা সম্পর্কের দিকে ৷ যার মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা, প্রসারিত ভূমিকা জন্য সুযোগ, মিশন ও সক্ষমতা এবং সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের প্রচেষ্টা ৷"
কমিটি প্রযুক্তি, টেলিযোগাযোগ এবং ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে দ্বিপাক্ষিক প্রচেষ্টাকে ঘিরে আলোচনা-সহ মার্কিন-ভারত অর্থনৈতিক সম্পর্ককে কার্যকরীভাবে উন্নত করার প্রচেষ্টার দিকেও মনোযোগ দেবে । কমিটি আরও বলেছে, "কমিটি কোয়াড্রিলাটেরাল সিকিউরিটি ডায়ালগে ভারতের অংশগ্রহণকে জোরদার করার প্রচেষ্টার দিকেও মনোনিবেশ করবে এবং ভারতের দ্রুত ক্রমবর্ধমান শক্তির চাহিদার প্রভাব পর্যালোচনা করবে ৷"
কমিটির শীর্ষ অগ্রাধিকার হবে চিনের তরফে তৈরি করা বিপদগুলির মোকাবিলা করা ৷ 119তম কংগ্রেসের জন্য তার অনুমোদন এবং তদারকি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিদেশ বিষয়ক হাউস কমিটি ৷ এরপর তারা বলেছে যে, এটি চিনের তরফে স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক চুক্তি ও চুক্তি লঙ্ঘনের বিষয়গুলিও পর্যালোচনা করবে ।
চিনের পরে বিদেশ বিষয়ক হাউস কমিটির অগ্রাধিকারের শীর্ষে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক এবং কোয়াড্রিলাটেরাল সিকিউরিটি ডায়ালগের মতো বহুপাক্ষিক ফোরামে বিদেশ দফতরের অংশগ্রহণের ভূমিকা ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাণিজ্য চুক্তির যেকোনও আলোচনা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা ।
এই কমিটি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিদেশ দফতর এবং ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট রিসোর্সিংয়ের নিয়মিত পর্যালোচনা এবং তদারকিও পরিচালনা করবে । কমিটির শীর্ষ 10টি বিষয়ের মধ্যে রয়েছে তাইওয়ান, ইউরোপ, রাশিয়া এবং তার সঙ্গে ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা, ইসরায়েল, ইরান, আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধ ।
