মালদা, 4 ফেব্রুয়ারি: 21 ফেব্রুয়ারি 21 লক্ষ একশো দিনের কর্মীদের সব বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেবে রাজ্য ৷ এমনটাই ঘোষণা করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মালদায় এসে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ তাঁর কথায়, "এই ঘোষণা আসলে তৃণমূলের ক্যাডারদের সরকারিভাবে টাকা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা ৷"
নাবালিকার মুণ্ড কেটে নৃশংস খুনের ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে রবিবার মালদায় আসেন সুকান্ত মজুমদার ৷ পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর বিজেপি জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি ৷ বৈঠকে সুকান্ত বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী 100 দিনের কাজের টাকা দেওয়ার যে কথা বলেছেন সেটা পুরোপুরি মিথ্যা ৷ প্রথমত, আইনত তিনি এই টাকা দিতে পারেন না ৷ 21 ফেব্রুয়ারির মধ্যে যে 21 লক্ষ মানুষকে টাকা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তাঁদের বেশিরভাগই তৃণমূলের ক্যাডার ৷ সরকারিভাবে তৃণমূল ক্যাডারদের টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ দ্বিতীয়ত, এই টাকা দিতে ভরসা ডিয়ার লটারি অথবা মদের পাউচ বিক্রি থেকে আসা টাকা ৷ অথবা কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও ফান্ডকে ডাইভার্ট করে টাকা দিয়ে দেবেন ৷ রাজ্য সরকারের কাছে তো টাকা নেই ৷"
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূলের ছাত্রনেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের নাম জড়িয়েছে ৷ তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই ধরনা মঞ্চে রয়েছেন ৷ এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, "তৃণাঙ্কুর নতুন চোর ৷ পুরোনোদের দেখেই শিখেছেন ৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ভাইপোদের থেকে চুরি শিখেছেন ৷ চোরেদের একটাই জায়গা তৃণমূলের মঞ্চ ৷ চোরেদের কোনও অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন তৈরি হলে মুখ্যমন্ত্রীই তার সভাপতি হবেন ৷"
আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী জোট নিয়ে সুকান্ত বলেন, "কংগ্রেসের কোনো ভবিষ্যৎ নেই ৷ 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ঝুলিতে 24টি আসন আসবে কি না সেই প্রতিযোগিতা চলছে ৷ কংগ্রেস শতাব্দী প্রাচীন দল লোকসভায় ভালো করুক আমরা সেটা চাই ৷ কংগ্রেসের উচিত নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা ৷ এই জোট হওয়ারই ছিল না ৷ জোটের নামে হ য ব র ল হচ্ছে ৷"
আরও পড়ুন: