মালদা, 22 অগস্ট: "মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল আবর্জনার স্তূপ নয়।" আরজি কর মেডিক্যালের অধ্যাপককে কোনওমতেই মালদা মেডিক্যালে মানতে নারাজ পড়ুয়া চিকিৎসকরা ৷ এমনকী আরজি করের অধ্য়াপকের প্রবেশ আটকাতে প্রয়োজনে মালদা মেডিক্যালে তালা লাগিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন পড়ুয়া চিকিৎসকরা।
আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপককে মালদা মেডিক্য়ালে ট্রান্সফার প্রসঙ্গে রীতিমতো ক্ষুব্ধ মালদা মেডিক্যালের চিকিৎসক পড়ুয়ারা। বুধবার স্বাস্থ্য ভবন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক চিকিৎসক অরুনাভ দত্ত চৌধুরীকে মালদা মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে ট্রান্সফারের নির্দেশিকা জারি করে। সেই নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর থেকেই মালদা মেডিক্যালে জল্পনা শুরু হয়েছে। আন্দোলনরত চিকিৎসক পড়ুয়ারা সাফ জানাচ্ছেন, অরুনাভ দত্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সামনে আসার কারণেই ওনাকে মালদা মেডিক্যালে ট্রান্সফার করা হয়েছে। বিষয়টি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
আন্দোলনরত এক চিকিৎসক পড়ুয়া রবি মীনা বলেন, “আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপককে মালদা মেডিক্যালে ট্রান্সফার করা হয়েছে। আমরা ওনাকে এখানে আসতে দেব না। প্রয়োজনে তালা মেরে দেওয়া হবে। কারণ, মালদা মেডিক্যাল কোনও আবর্জনার স্তূপ নয়। আরজি কর থেকে আবর্জনা তুলে এখানে ফেলে দেওয়া হবে, সেটা আমরা মেনে নেব না। ওনাকে যাতে মেডিক্যালে প্রবেশ করতে না দেওয়া হয় আমরা সেই চেষ্টা করব। উনি যদি নির্দোষ হতেন, তবে ওনাকে ওখানেই রাখা হত। এদিক ওদিক ট্রান্সফার করা হত না। মালদা মেডিক্যাল তুলনামূলক ছোটো, সেই কারণে বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই এখানে ওনার ট্রান্সফার করা হয়েছে। এখানেও অনেক মহিলা রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গেও অনেক কিছু ঘটতে পারে।”
একই বক্তব্য আরও এক মহিলা পড়ুয়া চিকিৎসক সুহানি সাহিলের। তিনি বলেন, “আমরা অরুনাভ দত্ত চৌধুরীকে এখানে থাকতে দেব না। এটা আবর্জনার স্তূপ না। ওখানের পরিত্যক্ত অধ্যাপকদের এখানে ফেলে দেওয়া হোক এটা আমরা মানতে পারব না। মালদা মেডিক্যালের পরিবেশ খারাপ হোক আমরা তা চাই না। উনি এখানে এলে আমরা একত্রিত হয়ে লড়াই করব। ওনার নাম ইতিমধ্যে কালিমালিপ্ত হয়েছে। ওনার তত্ত্বাবধানে থাকা ডিপার্টমেন্টে এত বড়ো অপরাধ হয়েছে। ওনার কিছু ভুল না থাকলে, ওনাকে এখানে পাঠানো হতো না।”