চন্দননগর, 13 মার্চ: সাধারণ ডিগ্রি কলেজ থেকে 32 জনের চাকরি হল বেসরকারি সংস্থায়। এতেই খুশি কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে প্রিন্সিপাল সকলেই। যে ছাত্র-ছাত্রীরা চাকরি পেয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই আর্টস, কমার্স এবং সায়েন্স বিভাগে পড়েন। 109 জনের মধ্যে পরীক্ষার মাধ্যমে 32 জনকে বেছে নেয় টিসিএস। রাজ্য সরকারের উৎকর্ষ বাংলা কলেজের সঙ্গে টাটার সংস্থা, টিসিএসের যোগাযোগের পর নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। আগামিদিনে অন্যান্য মহাবিদ্যালয় থেকে এভাবেই কর্মসংস্থান হলে নতুন দিশা পাবে রাজ্য। এই দেখে আরও কোম্পানিরা এগিয়ে আসবে বলে আশা সকল ছাত্র-ছাত্রীর।
চন্দননগর পৌরনিগম এলাকায় অবস্থিত খলিসানি মহাবিদ্যালয়। ন্যাকের বি-প্লাস-প্লাস ক্যাটাগরির কলেজ। সেই কলেজে আর্টস, কমার্স, সায়েন্সের তিন বিভাগের প্রায় আড়াই হাজার ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করেন। গত 10 মার্চ কলেজে ক্যাম্পাসিং হয়। 453 জন নাম নথিভুক্ত করেন। তার মধ্যে 109 জনকে বেছে নিয়ে তাঁদের পরীক্ষা নেয় টিসিএস। তাঁদের মধ্যে 32 জনকে নির্বাচন করে টাটার সংস্থা। বুধবার সেই চাকরিপ্রার্থী পড়ুয়াদের মেল করে জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের চাকরি হয়ে গিয়েছে। সাধারণ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইরকম কর্মসংস্থান দৃষ্টান্তমূলক ঘটনা।
খলিসানি কলেজের অধ্যক্ষ অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "রাজ্য সরকারে উৎকর্ষ বাংলা কলেজের সঙ্গে টাটার সংস্থা, টিসিএসের যোগাযোগ করিয়ে দেয়। সাধারণত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এধরনের ক্যাম্পাসিং হয়। টিসিএস-এর মতো সংস্থা ক্যাম্পাসিং করবে এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।আমাদের মতো কলেজ, যা অন্যান্য কলেজ থেকে অনেকটাই পিছিয়ে আছে সেখানে এমন সুযোগ তো সত্যিই ভালো। চাকরি না-থাকায় ডিগ্রি কলেজগুলোয় ছাত্র-ছাত্রী কমছে ৷ সেখানে উল্লেখযোগ্যভাবে এই সুযোগ দৃষ্টান্ত হতে পারে।"
চাকরি পেয়েছেন তানিয়া ঘোষ। তিনি বলেন, "কলেজ পাশ করে কিছু একটা করার ইচ্ছা ছিল। এরকমভাবে হঠাৎ টিসিএস-এর মতো নামী সংস্থায় চাকরি পেয়ে যাব ভাবিনি। তবে চাকরি তো প্রয়োজন।" ব্যাক অফিসে ডাটা অ্যানালিস্ট হিসাবে কাজ করতে হবে তাঁদের। এক বছর প্রবেশনাল সময়ের পরে তাঁদের স্থায়ীকরণ হবে। অভিভাবক রিনা সরখেল বলেন, "ছেলে-মেয়েদের কলেজে ভরতি করেছিলাম নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য। এখন তা পূরণ হতে চলেছে। প্রত্যেক বাবা-মার কাছে এটা বড় ব্যাপার।"
আরও পড়ুন: