কলকাতা, 23 ডিসেম্বর: বাংলাকে অস্ত্রঘাঁটি হিসেবে গড়ে তোলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা ৷ তারা অসমের কুখ্যাত ব্যবসায়ীর থেকে অস্ত্র কিনে আনবে বলে ঠিক করেছিল ৷ এই কাজে তাদের মদত দিয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ! এবিটি (আনসারুল্লা বাংলা টিম)-র সদস্য সন্দেহে বাংলা থেকে অসম পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এল রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদের ।
জানা গিয়েছে, ধৃত জঙ্গিরা বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র এনে এ রাজ্যে অস্ত্রঘাঁটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছিল । এই আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়ার জন্য তারা অসমের কুখ্যাত আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবসায়ীকে বরাতও দিয়েছিল । শুধু তাই নয়, এজন্য লক্ষাধিক টাকা একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পাঠানো হয় অসমে । অসম পুলিশের সঙ্গে কথা বলে এই বিস্ফোরক তথ্য জানতে পেরেছেন রাজ্য পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা ।
জানা গিয়েছে, তদন্তকারীরা অসমের ওই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে বাংলার যোগ পেয়েছেন । কিন্তু অসমের ওই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবসায়ী কে ? তাঁর নাম এখনই প্রকাশ করতে চাইছেন না তদন্তকারীরা । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য পুলিশের এসটিএফের এক আধিকারিক ইটিভি ভারতকে বলেন, "এই ঘটনায় আমরা কেরল ও অসম পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলছি ।"
সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের এসটিএফের সহযোগিতায় অসম পুলিশ হরিহরপাড়ার নিশ্চিন্তপুরের বাসিন্দা এবিটির জঙ্গি আব্বাস আলি ও রুকুনপুরের মিনারুল শেখকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশের বিশেষ ইউনিট । পাশাপাশি এই একই ঘটনায় বাংলাদেশের এবিটি নেতা শাদ রাদি-সহ আরও ছয়জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে কেরল পুলিশ । এবার কেরল ও অসম পুলিশের সঙ্গে কথা বলে বিস্ফোরক তথ্য হাতে এল গোয়েন্দাদের ।
ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, ধৃত জঙ্গিদের ফান্ডিং থেকে শুরু করে লজিসটিক সাহায্য করছে আইএসআই । মূলত ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে, বেশ কয়েকজন যুবককে আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য পাকিস্তানে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল । তবে ঘটনাটি প্রকশ্যে আসার পর রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার ও আইজি (এসটিএফ) গৌরব শর্মা জানান, ধৃতরা এই রাজ্যে বড়সড় নাশকতার ছক করেছিল । তবে তা ভেস্তে যায় ।