ETV Bharat / state

প্রায় 12 হাজার প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে রাজ্য, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার সুপ্রিম কোর্টের

Supreme Court order state appoint primary teachers: অবশেষে মিলল সুপ্রিম কোর্টের সবুজ সংকেত। প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল প্রকাশের উপর স্থগিতাদেশ তুলে নিল শীর্ষ আদালত। সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা চাকরিতে সুযোগ পাবেন কি না, এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের পরে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত মামলা গড়ায়।

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 29, 2024, 7:55 PM IST

Updated : Jan 29, 2024, 8:24 PM IST

কলকাতা, 29 জানুয়ারি: 2022 সালের প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলা থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করল সুপ্রিম কোর্ট ৷ একই সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখলো দেশের শীর্ষ আদালত। সবমিলিয়ে অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের সবুজ সংকেত মিলল। প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল প্রকাশের উপর স্থগিতাদেশ তুলে নিল সুপ্রিম কোর্ট।

শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির জন্য বিএড ডিগ্রিধারীরা আবেদন করতে পারবেন না। প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ডিএলএড পাশ করা আবশ্যক। তবে 2014 সালের সময় এই বিষয়টি বাধ্যতামূলক ছিল না। পরবর্তীকালে জটিলতা তৈরি হয়। সেই কারণে 2014 সালে টেট উত্তীর্ণেরা 2020 সালে ডিএলএড কোর্সে ভরতি হন।

2022 সালে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময়ে সেই সব চাকরি প্রার্থীরা মার্কশিট হাতে পাননি। পরবর্তীকালে সেই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা চাকরিতে সুযোগ পাবেন কি না, এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের হয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত মামলা গড়ায়। আর সেই মামলায় 2022 সালের নিয়োগ প্যানেলে স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।

সেই স্থগিতাদেশ সোমবার তুলে নিল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে প্যানেল প্রকাশে আর কোনও বাধা থাকছে না। এদিকে রাজ্যের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, প্রায় 11 হাজার 765 জনের চাকরির নিয়োগ পত্র প্রস্তুত করে রেখেছে রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ তুলে দিলেই চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের কাজ শুরু করবে রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে 11 হাজার 765 জনের তালিকা প্রস্তুতও করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষক পদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কাউন্সেলিং, ইন্টারভিউ সমস্ত কিছুই সম্পন্ন হয়ে আছে। কিন্তু মামলা চলার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়নি ৷

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশিক্ষণরতদের পক্ষে নির্দেশ দিলেও সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয় ৷ বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানায়, প্রশিক্ষণরত প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। শিক্ষক হতে গেলে প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করতে হবে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। 2023 সালের 28 জুলাই বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ জানায়, আদালত নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পর্ষদ কোনও মেধাতালিকা প্রকাশ করতে পারবে না। তারপর থেকে মামলাটির শুনানি একাধিক বার পিছিয়ে গিয়েছে। গত 22 জানুয়ারি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে কত শূন্য পদ রয়েছে, কত জন যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন, তার খসড়া প্যানেল আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এবার নিয়োগের বাধা দূর করল শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, 23 সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা যুবতির গর্ভপাতের নির্দেশ হাইকোর্টের

শাহজাহান গ্রেফতার হবেই, এটা দায়বদ্ধতা; মন্তব্য রাজ্যপালের

তিন মিনিটের ফোনে তদন্তকারী আধিকারিকদের উপর হামলার ছক শাহজাহানের ?

কলকাতা, 29 জানুয়ারি: 2022 সালের প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলা থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করল সুপ্রিম কোর্ট ৷ একই সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখলো দেশের শীর্ষ আদালত। সবমিলিয়ে অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের সবুজ সংকেত মিলল। প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল প্রকাশের উপর স্থগিতাদেশ তুলে নিল সুপ্রিম কোর্ট।

শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির জন্য বিএড ডিগ্রিধারীরা আবেদন করতে পারবেন না। প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ডিএলএড পাশ করা আবশ্যক। তবে 2014 সালের সময় এই বিষয়টি বাধ্যতামূলক ছিল না। পরবর্তীকালে জটিলতা তৈরি হয়। সেই কারণে 2014 সালে টেট উত্তীর্ণেরা 2020 সালে ডিএলএড কোর্সে ভরতি হন।

2022 সালে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময়ে সেই সব চাকরি প্রার্থীরা মার্কশিট হাতে পাননি। পরবর্তীকালে সেই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা চাকরিতে সুযোগ পাবেন কি না, এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের হয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত মামলা গড়ায়। আর সেই মামলায় 2022 সালের নিয়োগ প্যানেলে স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।

সেই স্থগিতাদেশ সোমবার তুলে নিল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে প্যানেল প্রকাশে আর কোনও বাধা থাকছে না। এদিকে রাজ্যের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, প্রায় 11 হাজার 765 জনের চাকরির নিয়োগ পত্র প্রস্তুত করে রেখেছে রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ তুলে দিলেই চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের কাজ শুরু করবে রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে 11 হাজার 765 জনের তালিকা প্রস্তুতও করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষক পদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কাউন্সেলিং, ইন্টারভিউ সমস্ত কিছুই সম্পন্ন হয়ে আছে। কিন্তু মামলা চলার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়নি ৷

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশিক্ষণরতদের পক্ষে নির্দেশ দিলেও সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয় ৷ বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানায়, প্রশিক্ষণরত প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। শিক্ষক হতে গেলে প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করতে হবে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। 2023 সালের 28 জুলাই বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ জানায়, আদালত নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পর্ষদ কোনও মেধাতালিকা প্রকাশ করতে পারবে না। তারপর থেকে মামলাটির শুনানি একাধিক বার পিছিয়ে গিয়েছে। গত 22 জানুয়ারি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে কত শূন্য পদ রয়েছে, কত জন যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন, তার খসড়া প্যানেল আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এবার নিয়োগের বাধা দূর করল শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, 23 সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা যুবতির গর্ভপাতের নির্দেশ হাইকোর্টের

শাহজাহান গ্রেফতার হবেই, এটা দায়বদ্ধতা; মন্তব্য রাজ্যপালের

তিন মিনিটের ফোনে তদন্তকারী আধিকারিকদের উপর হামলার ছক শাহজাহানের ?

Last Updated : Jan 29, 2024, 8:24 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.