কলকাতা, 4 সেপ্টেম্বর: আরজি করের ঘটনাকে সামনে রেখে রাজ্যে চড়ছে প্রতিবাদের ঝড় । প্রত্যেকদিন ক্রমাগত আন্দোলন আছড়ে পড়ছে রাজপথে । তবে এই অবস্থায় রাজ্যের সাধারণ মানুষ নিজেদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালগুলির থেকেও বেশি ভরসা করছে বেসরকারি হাসপাতালের উপর । আন্দোলনের কারণে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, সেই জায়গা থেকে তারা বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে ।
আর এই অবস্থায় খরচ বাড়ছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের । নবান্ন সূত্রে খবর, গত জুলাই মাসে এই প্রকল্পে যে খরচ হয়েছিল রাজ্য সরকারের, তা অগস্ট মাসে এসে এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে । গত কয়েকদিনে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন, তাতে জানা গিয়েছে যে 10 অগস্টের পর থেকে প্রত্যেকদিনই নিয়ম করে রাজ্য সরকারকে এই প্রকল্পে 6 কোটি টাকা করে খরচ করতে হচ্ছে ।
মূলত, বেসরকারি হাসপাতালে সাধারণ মানুষ গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা করানোর জন্যই এই প্রকল্পে বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য আবেদন করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে । প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাস পর্যন্ত লক্ষ্য করলে দেখা যাবে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে প্রতিদিন গড়ে তিন কোটি টাকা করে খরচ হতো রাজ্য সরকারের । সেটাই এক ধাক্কায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে এই আন্দোলনের আবহে ।
সূত্রের খবর, নবান্নের তরফ থেকে 10 অগস্ট থেকে 2 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই প্রকল্পের জন্য খরচ করা হয়েছে 150 কোটি টাকা । একই সঙ্গে এই আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী হলে এই খরচ আরও বাড়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না স্বাস্থ্যভবন ।
তাৎপর্যপূর্ণ হলেও সত্যি, আন্দোলনের আবহে স্বাস্থ্য ভবনের এই রিপোর্ট বলছে, 10 অগস্টের পর থেকে কর্মবিরতির কারণে আউটডোর পরিষেবা কমেছে প্রায় 50 শতাংশ । একই সঙ্গে সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে 25 শতাংশের কাছাকাছি রোগী ভর্তি হ্রাস পেয়েছে । গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচারও কমেছে 50 শতাংশ । খুব সহজভাবেই এটা বোঝা যাচ্ছে ৷ এই অবস্থায় সাধারণ মানুষ বেসরকারি হাসপাতালে উপরই আস্থা রাখছে ।