ETV Bharat / state

অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের তালিকা দেওয়া হয়েছিল হাইকোর্টে, দাবি এসএসসির চেয়ারম্যানের - SSC Recruitment Scam

SSC Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায়ে স্কুলে কর্মরত প্রায় 26 হাজার জনের চাকরি বাতিল হয়েছে ৷ সেই তালিকায় অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের সঙ্গে যোগ্যরাও রয়েছেন ৷ যদিও স্কুল সার্ভিস কমিশনের দাবি, তারা প্রায় 5300 জন অযোগ্য চাকরিপ্রাপকের নাম হাইকোর্টে জমা দিয়েছিলেন ৷ এবার সুপ্রিম কোর্টে সেই তালিকা জমা দেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন ৷

SCHOOL SERVICE COMMISSION CHAIRMAN
SCHOOL SERVICE COMMISSION CHAIRMAN
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 25, 2024, 12:48 PM IST

Updated : Apr 25, 2024, 3:56 PM IST

অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের তালিকা দেওয়া হয়েছিল হাইকোর্টে, দাবি এসএসসির চেয়ারম্যানের

কলকাতা, 25 এপ্রিল: হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল গিয়েছে প্রায় 26 হাজার জনের চাকরি । তারপরেই স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যোগ্যরা । তাঁদের দাবি, কেন যোগ্যদের নাম হাইকোর্টে পেশ করেনি কমিশন ? এবার সেই প্রশ্ন উত্তর দিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার । তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পাঁচ হাজারের বেশি অযোগ্যের নাম দেওয়া হয়েছিল এসএসসির তরফে । কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট হয়নি কলকাতা হাইকোর্ট । ফলে এবার এই তথ্য তাঁরা জমা দেবেন সুপ্রিম কোর্টে ।

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার । সেখানে তিনি বলেন, ‘‘13 ডিসেম্বর আমরা একটা হলকনামা জমা দিয়েছিলাম ৷ কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হয়নি মহামান্য আদালত । তাই ফের 18 ডিসেম্বর আমরা আরেকটি হলকনামা দিয়েছিলাম । এখানে বলা হচ্ছে 775 জনের অনুমোদন আমরা বাতিল করেছি 17 রুল প্রয়োগ করে । এরপর পূর্ণাঙ্গ আরেকটি রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল । 20 ডিসেম্বর আমরা আরেকটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিয়েছিলাম । সেখানে 775 জনের পাশাপাশি আরও 33 জনের নাম দেওয়া হয়েছিল । ওই 33 জনের ওএমআর-এ অসংগতি ছিল । এটা পুরোটাই নবম-দশমের । এছাড়াও 183 জনের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছিল যাদের ব়্যাংক জাম্পিং-এর মতো সমস্যা ছিল ।’’

তিনি আরও জানান, অন্যদিকে দ্বাদশ ও একাদশের ক্ষেত্রে সুপারিশপত্র পেয়েছিলেন 771 জন । এদের ওএমআর-এ সমস্যা ছিল । ব়্যাংক জাম্পিং-এর ক্ষেত্রে একাদশ-দ্বাদশের নাম ছিল 39 জনের । অন্যদিকে গ্রুপ সি-র ওএমআর-এ সমস্যা ছিল 783 । এছাড়াও 57 জনের কাছে সুপারিশপত্র যায়নি ৷ কিন্তু তাঁরা চাকরিতে নিযুক্ত হন । গ্রুপ-ডির ক্ষেত্রে 1741 জনের ওএমআর-এ সমস্যা ছিল । 170 জনের ওএমআর নেই ৷ কিন্তু তাঁরা কাজে নিযুক্ত হয়েছিলেন । প্রত্যেকেরই চাকরি বাতিল করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে ।

সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘‘5 জানুয়ারি আর একটি হলকনামা জমা দিয়েছিলাম । নবম-দশমের ব়্যাংক জাম্পিং-এ আরও দু’জনের নাম দেওয়া হয়েছিল । তার সঙ্গে একাদশ দ্বাদশের জন্য 39 জনের ব়্যাংক জাম্পিং হয়েছে, সে কথাও তুলে ধরি । তার সঙ্গে 61 জন, যাঁদের নাম সিস্টেমে রয়েছে, কিন্তু ইন্টারভিউতে বসেননি, এইরকম বেশ কিছু নামের কথা আমরা তুলে ধরি । এছাড়াও মামলা করার পর একজন চাকরি পেয়েছিলেন ৷ কিন্তু তাঁরও ওএমআর-এ অসংগতি রয়েছে ।’’

এসএসসি তরফে জানানো হয়েছে, এই পুরো তালিকাই তারা কলকাতা হাইকোর্টের জমা দিয়েছে । কিন্তু সেখানে যোগ্য কারা, তার কোনও তালিকা দেয়নি এসএসসি । উল্লেখ্য, 2016 সালের আগে পর্যন্ত নিয়ম ছিল ওএমআর তিন বছর রাখতে হবে । কিন্তু 2016 সালে নতুন আইন বের করে সেই ওএমআর রাখার সময়সীমা করা হয় এক বছর । এমনকি 2016 সালে বলা হয় পরীক্ষা হবে সম্পূর্ণ ওএমআর ভিত্তিক ৷

আরও পড়ুন:

  1. এসএসসি দুর্নীতিতে মমতাকে গ্রেফতারের দাবিতে পথে বাম-কংগ্রেস
  2. মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে, প্রধান বিচারপতিকে আর্জি-চিঠি কৌস্তভের
  3. এসএসসি দুর্নীতির দায় রাজ্য সরকারেরই, মত উত্তর দিনাজপুরের প্রাক্তন জেলা সভাধিপতির

অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের তালিকা দেওয়া হয়েছিল হাইকোর্টে, দাবি এসএসসির চেয়ারম্যানের

কলকাতা, 25 এপ্রিল: হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল গিয়েছে প্রায় 26 হাজার জনের চাকরি । তারপরেই স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যোগ্যরা । তাঁদের দাবি, কেন যোগ্যদের নাম হাইকোর্টে পেশ করেনি কমিশন ? এবার সেই প্রশ্ন উত্তর দিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার । তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পাঁচ হাজারের বেশি অযোগ্যের নাম দেওয়া হয়েছিল এসএসসির তরফে । কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট হয়নি কলকাতা হাইকোর্ট । ফলে এবার এই তথ্য তাঁরা জমা দেবেন সুপ্রিম কোর্টে ।

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার । সেখানে তিনি বলেন, ‘‘13 ডিসেম্বর আমরা একটা হলকনামা জমা দিয়েছিলাম ৷ কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হয়নি মহামান্য আদালত । তাই ফের 18 ডিসেম্বর আমরা আরেকটি হলকনামা দিয়েছিলাম । এখানে বলা হচ্ছে 775 জনের অনুমোদন আমরা বাতিল করেছি 17 রুল প্রয়োগ করে । এরপর পূর্ণাঙ্গ আরেকটি রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল । 20 ডিসেম্বর আমরা আরেকটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিয়েছিলাম । সেখানে 775 জনের পাশাপাশি আরও 33 জনের নাম দেওয়া হয়েছিল । ওই 33 জনের ওএমআর-এ অসংগতি ছিল । এটা পুরোটাই নবম-দশমের । এছাড়াও 183 জনের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছিল যাদের ব়্যাংক জাম্পিং-এর মতো সমস্যা ছিল ।’’

তিনি আরও জানান, অন্যদিকে দ্বাদশ ও একাদশের ক্ষেত্রে সুপারিশপত্র পেয়েছিলেন 771 জন । এদের ওএমআর-এ সমস্যা ছিল । ব়্যাংক জাম্পিং-এর ক্ষেত্রে একাদশ-দ্বাদশের নাম ছিল 39 জনের । অন্যদিকে গ্রুপ সি-র ওএমআর-এ সমস্যা ছিল 783 । এছাড়াও 57 জনের কাছে সুপারিশপত্র যায়নি ৷ কিন্তু তাঁরা চাকরিতে নিযুক্ত হন । গ্রুপ-ডির ক্ষেত্রে 1741 জনের ওএমআর-এ সমস্যা ছিল । 170 জনের ওএমআর নেই ৷ কিন্তু তাঁরা কাজে নিযুক্ত হয়েছিলেন । প্রত্যেকেরই চাকরি বাতিল করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে ।

সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘‘5 জানুয়ারি আর একটি হলকনামা জমা দিয়েছিলাম । নবম-দশমের ব়্যাংক জাম্পিং-এ আরও দু’জনের নাম দেওয়া হয়েছিল । তার সঙ্গে একাদশ দ্বাদশের জন্য 39 জনের ব়্যাংক জাম্পিং হয়েছে, সে কথাও তুলে ধরি । তার সঙ্গে 61 জন, যাঁদের নাম সিস্টেমে রয়েছে, কিন্তু ইন্টারভিউতে বসেননি, এইরকম বেশ কিছু নামের কথা আমরা তুলে ধরি । এছাড়াও মামলা করার পর একজন চাকরি পেয়েছিলেন ৷ কিন্তু তাঁরও ওএমআর-এ অসংগতি রয়েছে ।’’

এসএসসি তরফে জানানো হয়েছে, এই পুরো তালিকাই তারা কলকাতা হাইকোর্টের জমা দিয়েছে । কিন্তু সেখানে যোগ্য কারা, তার কোনও তালিকা দেয়নি এসএসসি । উল্লেখ্য, 2016 সালের আগে পর্যন্ত নিয়ম ছিল ওএমআর তিন বছর রাখতে হবে । কিন্তু 2016 সালে নতুন আইন বের করে সেই ওএমআর রাখার সময়সীমা করা হয় এক বছর । এমনকি 2016 সালে বলা হয় পরীক্ষা হবে সম্পূর্ণ ওএমআর ভিত্তিক ৷

আরও পড়ুন:

  1. এসএসসি দুর্নীতিতে মমতাকে গ্রেফতারের দাবিতে পথে বাম-কংগ্রেস
  2. মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে, প্রধান বিচারপতিকে আর্জি-চিঠি কৌস্তভের
  3. এসএসসি দুর্নীতির দায় রাজ্য সরকারেরই, মত উত্তর দিনাজপুরের প্রাক্তন জেলা সভাধিপতির
Last Updated : Apr 25, 2024, 3:56 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.