বাগডোগরা, 31 জুলাই: বাগডোগরা বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি ৷ স্পাইসজেটের তিনটি বিমানে ত্রুটির কারণে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারেনি ৷ বুধবার সকালে বিকল্প বিমানে যাত্রীদের গন্তব্যে যাওয়ার ব্যবস্থা করে বিমান সংস্থাটি ৷ মঙ্গলবার স্পাইসজেটের তিনটি বিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে উড়তে পারেনি ৷ এর ফলে সমস্যায় পড়েন 180 জন দিল্লিগামী যাত্রী । প্রায় 16 ঘণ্টা টানা বিমানবন্দরে অপেক্ষায় পর যাত্রীদের জন্য রাতে হোটেলের ব্যবস্থা করা হয় ৷ বুধবার সকালে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত পর্যন্ত যাত্রীদের জন্য কোনও বিকল্প বিমানের ব্যবস্থা করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে ৷
বিমানবন্দর ও এয়ারপোর্টে অথরিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে স্পাইসজেটের দিল্লিগামী দু’টি বিমানে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা যায় ৷ বিমানটি উড়ার সময় সমস্যা শুরু হয় । এদিন সকাল 8টা 44 মিনিট নাগাদ 175 জন যাত্রী নিয়ে বাগডোগরা থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বিমানটি। কিন্তু যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে উড়ানের ঠিক 12 মিনিট পর অর্থাৎ 8টা 56 মিনিটে ফের বাগডোগরা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। বিমানের যাত্রীদের জানানো হয়, বিমানটি ঠিক হলে রিসিডিউল করে বিকেলে ওই বিমানে যাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হবে। অভিযোগ, প্রথমে বিকাল 5টা নাগাদ বিমানটি রিসিডিউলের কথা বলা হলেও রাত 11টায় বিমানটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয় ৷
অন্যদিকে, এদিনই বিকেল 5টা 10 মিনিট নাগাদ দিল্লিগামী ওই সংস্থার আরেকটি বিমান দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে গেলে সেটিও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাতিল হয়। সেই বিমানের যাত্রীদেরও জানানো হয়, রিসিডিউল করে রাতের বিমানে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু সেই যাত্রীদেরও রাত 11টা পর্যন্ত অপেক্ষা করানো হয় ৷ পরে তা বাতিল করা হয় ৷ এই সংস্থারই তৃতীয় একটি বিমান 7টা নাগাদ একটি বিমান দিল্লি থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে অবতরণের পর যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে ৷ তারপর আর উড়ানের ব্যবস্থা হয়নি বলে অভিযোগ। একইদিনে একই সংস্থার একের পর এক বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ও বাতিল হওয়ায় কারণে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় ৷
দিল্লিগামী এক বিমানযাত্রী গোয়ালিয়রের বাসিন্দা মধু বনসল বলেন ,"বিকেল পাঁচটার সময় দিল্লির জন্য বিমান থাকলেও তা উড়েনি। কিন্তু কখনও বলা হয়েছে সন্ধ্যে বেলা যাবে, আবার কখনও বলা হয়েছে রাত 9টায় ছাড়বে। কিন্তু কোনও তথ্য নেই কর্তৃপক্ষের কাছে। শারীরিক ও মানসিকভাবে আমরা ভেঙে পড়ছি। দিল্লি থেকে আমাদের ট্রেন ছিল সেটা আমরা ধরতে পারিনি।"
দিল্লিগামী আরেক যাত্রী দুর্গা বলেন, "একদিকে বিমানের এই পরিস্থিতি অন্যদিকে নূন্যতম কোনও পরিষেবা নেই। আদৌও এই বিমান কখন উড়বে সেটাও বলা হচ্ছে না। এত রাতে বিমান কোম্পানি থেকে যোগাযোগ করা হয় আমাদের সঙ্গে। তবে বিমান কখন ছাড়বে, সেটা জানানো হয়নি। আমাদের দিল্লি থেকে দুবাইয়ের বিমান ধরার কথা ছিল। সেটাও আমাদের বাধ্য হয়ে বাতিল করতে হয়েছে।"