কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি: সামনেই লোকসভা নির্বাচন ৷ তার আগে কলকাতা পুলিশের অধীনস্থ থানা এলাকায় কোনওরকমের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে এর জন্য বদ্ধপরিকর লালবাজার । এবার কলকাতা পুলিশের সব কটি থানায় বাছাই করা কনস্টেবলদের নিয়ে তৈরি হচ্ছে একটি বিশেষ দল ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "অনেক সময় থানা এলাকায় কী কী অপরাধের ঘটনা ঘটছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট আমরা পাই না । ফলে এবার সেই রিপোর্ট হাতে পেতে প্রত্যেকটি থানার বাছাই করা কনস্টেবলদের নিয়ে তৈরি হচ্ছে একটি বিশেষ ইউনিট ।" তবে কী সেই ইউনিট? কী হচ্ছে সেই ইউনিটের নাম? সেটি এখনও স্পষ্ট না হলেও জানা যাচ্ছে, এবার থেকে বাছাই করা কনস্টেবলদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক ।
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে খবর, এই প্রথা বহু বহু বছর আগে কলকাতা পুলিশে ছিল । যার সাবেকি নাম ছিল, 'বিট কনস্টেবল' । অর্থাৎ প্রত্যেকটি থানায় বাছাই করা কয়েকজন কনস্টেবল থাকতেন যারা ওই এলাকার যাবতীয় খুঁটিনাটি গোপন তথ্য সরাসরি পৌঁছে দিতেন লালবাজারের সদর দফতরে বা গোয়েন্দা বিভাগে । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রথা একসময় উঠে যায় । সেই প্রথাকেই নয়া আঙ্গিকে ফিরিয়ে আনতে চাইছে কলকাতা পুলিশ ।
এই বিষয়ে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটি থানায় একজন করে সাব-ইন্সপেক্টর থাকে, যার উপর ওই এলাকার সমাজবিরোধীদের উপর নজর রাখার গুরু দায়িত্ব থাকে । তাঁদের বলা হয় অ্যান্টি রাউডি অফিসার । তাঁরা একটি বিশেষ খাতা বা ডাইরি ব্যবহার করেন ৷ যার নাম 'রাফ রেজিস্টার' ।
তবে দিনের শেষে প্রত্যেকটি এলাকায় আইন-শৃংখলা বজায় রাখার পাশাপাশি দিনের পর দিন কলকাতা পুলিশ আয়তনে বাড়লেও তার কর্মী সংখ্যা কমছে ৷ এই অবস্থায় থানার অ্যান্টি রাউডি অফিসার ভালোভাবে কাজ করতে পারছেন না । তাই নতুন করে একবার কলকাতা পুলিশের প্রত্যেকটি থানায় কনস্টেবলদের বাছাই করে যদি এলাকার খুঁটিনাটি তথ্য জানা যায়, তাতে লালবাজারের সাহায্য হবে বলে মনে করছেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা । খুব শীগ্রই এই ইউনিট চালু করবে কলকাতা পুলিশ । লালবাজার সূত্রে এমনটাই খবর ।
আরও পড়ুন: