দার্জিলিং, 3 মে: রাজ্যে রোজ বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। তার জেরে নাজেহাল পরিস্থিতি বঙ্গবাসীর। মানুষ তো বটেই, পশুপাখিরাও এই গরমে নাজেহাল। আর এই পরিস্থিতিতে প্রাণীদের গরম থেকে রেহাই দিতে একাধিক উদ্যোগ নিল বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ। কুলার, টেবিল ফ্যান, বরফ এসব দিয়ে একটু ঠান্ডার আমেজ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবারের সঙ্গেও ঠান্ডা পানীয়ও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই তীব্র দাবদাহে সাফারির পশু-পাখিরা যাতে সুরক্ষিত থাকে তাই খাঁচার মধ্যে স্নান করানো হচ্ছে এবং খাবার জন্য প্রয়োজনীয় জলের জোগানের পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে ওআরএস। বিশেষ যত্ন নেওয়া হচ্ছে বাঘ, সিংহ, চিতাবাঘের মতো প্রাণীদের। সেইসব পশুদের খাঁচার সামনে এয়ার কুলার, টেবিল ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি জল যাতে ঠান্ডা থাকে তার জন্য জলের মধ্যে বরফ দেওয়া হচ্ছে।
পশু বিশেষজ্ঞদের মতে, তীব্র গরমে মানুষের পাশাপাশি পশুপাখীদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়ে। বেঙ্গল সাফারির পশুপাখিদের স্বাস্থ্যের কোনও সমস্যা না-হয় সেদিকে টানা নজরদারি চালাচ্ছে পার্ক কর্মী ও চিকিৎসকরা। গরমের জন্য খাদ্য তালিকাতেও করা হয়েছে বেশ কিছু ফেরবদল। তরমুজ, আপেল, কলা, গাজর বেশি করে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে ওআরএস এবং ভিটামিন সি। পাখি-সহ অন্যান্য পশু ও জীবজন্তুদের এনক্লোজারে বিশেষ ছাউনিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গরমে পার্কে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে সেজন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এনক্লোজারে পাখি, হরিণ, গণ্ডার, বিভিন্ন প্রজাতির বন বিড়ালদের জন্য পুকুরে দু'বার করে জল দেওয়া হচ্ছে। লক্ষ্মী ও উর্মিলা দুই কুনকি হাতিকে প্রতিদিন নদীতে পালা করে স্নান করানো হচ্ছে। সাফারি পার্কের ডিরেক্টর বিজয় কুমার বলেন, "সাধারণ মানুষের সঙ্গে বন্য প্রাণীদের শারীরিক দিক দিয়ে একটা পার্থক্য রয়েছে। তা এই প্রাণীদের জন্য, আরও বেশি করে যত্ন নেওয়া হচ্ছে। বন্যপ্রাণীদের নিয়ে আগের থেকেই আরও সতর্ক রয়েছে বেঙ্গল সাফরি পার্ক। শরীরে ডিহাইড্রেশন হয় সেই জন্য দিনে দু'বার পানীয় জলের সঙ্গে ওআরএস দেওয়া হচ্ছে। 24 ঘণ্টা নজর রাখছি আমরা।"
আরও পড়ুন: