গঙ্গাসাগর, 25 অগস্ট: বঙ্গোপসাগরে গভীর নম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের জেরে 25-27 অগস্ট দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ৷ সঙ্গে 40-50 কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে ৷ এই পরিস্থিতিতে আজ সকাল থেকে সাগর ব্লক প্রশাসনের তরফে গঙ্গাসাগর এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকিংয়ের মাধ্যমে পর্যটক এবং স্থানীয়দের সতর্ক করা হচ্ছে ৷ সেই সঙ্গে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা প্রশাসনের তরফে সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে ৷
উল্লেখ্য, গভীর নিম্নচাপের মধ্যেই ভরা কোটাল থাকবে ৷ ফলে এই সময় সমুদ্র ও তার সংলগ্ন নদীগুলি উত্তাল থাকবে ৷ এই পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগরে আসা পুণ্যার্থীদের সতর্ক করা হচ্ছে, তাঁরা যাতে সাগরের বেশি গভীরে স্নান করতে না-যান ৷ সেই সঙ্গে কপিলমুণির আশ্রম এলাকায় যে অংশে সাগরে ভাঙন রয়েছে, সেখানে থাকা সকল ব্যবসায়ীদের সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে ৷
দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা প্রশাসন ও সেচ দফতরের তরফে মৎস্যজীবীদের আগামী 4-5 দিন সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে ৷ এই সময় সমুদ্র উত্তাল রয়েছে ৷ ইতিমধ্যে, সমুদ্রে যাওয়া সকল ট্রলারগুলিকে ফিরে আসতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন ৷ পাশাপাশি, যাঁরা গভীর সমুদ্রে ছিলেন, তাঁদের নিকটবর্তী বন্দরগুলিতে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে ৷
দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন ৷ বকখালি, নামখানা, গোসাবা, কুলতলি, মৌসুনী দ্বীপ, গঙ্গাসাগর-সহ দক্ষিণ 24 পরগনা উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে মাইকিং চলছে ৷ পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা নজরদারি চালাচ্ছেন ৷ নুলিয়াদের সতর্ক করা হয়েছে, বিশেষত বকখালি পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ৷ যাতে এই তিনদিন কোনও পর্যটক সমুদ্রে স্নান করতে না-নামেন ৷
এর পাশাপাশি সুন্দরবনের দ্বীপগুলিতে যেখানে ভাঙনের সমস্যা দেখা দিয়েছে, সেই অঞ্চলগুলি খালি করা হচ্ছে ৷ লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে স্থানীয় স্কুল ও ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে ৷ ত্রাণ শিবিরগুলিতে প্রয়োজনীয় খাবার, পানীয় জল, ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷