শিলিগুড়ি, 28 ফেব্রুয়ারি: বড়সড় সাফল্য রাজ্য বন দফতরের ৷ বন দফতরের কার্শিয়াং ওয়াইল্ড লাইফ ফরেস্ট ডিভিশন, বাগডোগরা রেঞ্জ ও ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর যৌথ অভিযানে উদ্ধার হল প্রায় 4 কেজি সাপের বিষ। উদ্ধার হওয়া সাপের বিষের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় 5 কোটি টাকা। ঘটনায় একদিকে যেমন চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে, তেমনই অন্যদিকে বেশ উদ্বিগ্ন বন দফতর।
এর আগে গত বছর 30 ডিসেম্বর এবং 16 অক্টোবর একইভাবে শিলিগুড়িকে করিডোর হিসেবে ব্যবহার করে কয়েক কোটি টাকার সাপের বিষ পাচারের ছক বানচাল করেছিল বন দফতর। ফের একবার ওই পাচারের ঘটনায় শোরগোল পরে গিয়েছে বন দফতরের অন্দরে। বন দফতর ও ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দ মহম্মদ শাহানাওয়াজ (27), মহম্মদ তওহিদ আলম (39), মহম্মদ আজমল (28) নামে তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধৃতদের বুধবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হবে। এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) নিরজ সিঙ্ঘল বলেন, "সাপের বিষ পাচারের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।" বাগডোগরার রেঞ্জার সোনম ভুটিয়া বলেন, "ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ফ্রান্সে তৈরি বিশেষ রকমের দু'টি কাঁচের জারে ওই সাপের বিষ উদ্ধার হয়েছে। একটিতে 1 কেজি 796 গ্রাম ও অন্যটিতে 2 কেজি 29 গ্রাম সাপের বিষ ছিল। বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই তিন পাচারকারীর উপর নজর রাখছিল বন দফতর ও ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো। মঙ্গলবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফাঁসিদেওয়া ব্লকের মুরালিগছ এলাকার মহানন্দা সেতুর কাছে অভিযান চালায় বন দফতর।
অভিযানে একটি চারচাকা গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বাংলাদেশের খবরের কাগজে মোড়ানো একটি সাপের বিষ ভরতি কাঁচের জার উদ্ধার হয়। আর সেইসঙ্গে থাকা একটি স্কুটিতে তল্লাশি চালালে আরেকটি সাপের বিষ ভরতি কাঁচের জার উদ্ধার হয়। এরপরই ওই তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। বাংলাদেশ থেকে ওই সাপের বিষ এনে নেপাল হয়ে চিনে পাচার করা হত বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন বনাধিকারিকরা। ইন্দো-নেপাল সীমান্তে ওই জার দু'টি হাতবদলের পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের। চিনের কালোবাজারে মূলত এই ধরনের বন্যপ্রাণ সামগ্রীর চাহিদা রয়েছে।
আরও পড়ুন: