শিলিগুড়ি, 24 মে: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রামকৃষ্ণ মিশনের জমির করের নথি রাতারাতি তৈরি করে কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিলেন স্বয়ং শিলিগুড়ি পৌরনিগমের মেয়র গৌতম দেব । মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শুক্রবার মেয়র গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, চেয়ারম্যান প্রতুল চক্রবর্তী-সহ অন্যান্য কাউন্সিলারদের নিয়ে মিশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করেন ও পৌরনিগমের যাবতীয় নথি নিজে হাতে তাদের কাছে তুলে দেন । শুধু তাই নয়, ওই জমিতে আর কোনও সমস্যা নেই বলে জানিয়ে মেয়র বলেন, আগামীতে যাঁরা ওই সম্পত্তিতে সমস্যা তৈরির চেষ্টা করবে, তাঁদের জেলের ভেতরে থাকতে হবে ।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর পৌরনিগমে তৃণমূল কংগ্রেসের 37 জন কাউন্সিলারদের প্রায় সবাইকে নিয়ে মিশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করেন মেয়র । সেখানে মিশনের প্রতিষ্ঠাতাদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা । এরপরই আলাপচারিতার পর যাবতীয় নথি মিশনের জলপাইগুড়ি শাখার সম্পাদক মহারাজ শিবপ্রেমানন্দের হাতে তুলে দেন মেয়র গৌতম দেব । এরপর মিশন কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা-সহ মিশনের অন্যান্য জায়গা ঘুরে দেখেন ।
মিশনের জলপাইগুড়ি শাখার সম্পাদক মহারাজ শিবপ্রেমানন্দ বলেন, "যা ঘটেছে তা কখনওই কাম্য নয় । রামকৃষ্ণ মিশন শুধু বাংলার নয়, গোটা বিশ্বের মানুষ এই সংস্থার সঙ্গে জড়িত ৷ সেই সংস্থার সদস্যদের উপর এভাবে আক্রমণ দুঃখজনক । আশা করি, আগামীতে পুলিশ প্রশাসন সঠিকভাবে পদক্ষেপ করবে ।"
আরও পড়ুন:
এ দিন গৌতম দেব বলেন, "যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা জেলে আছে । মুখ্যমন্ত্রী নিজে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে বিষয়টি দেখার জন্য । আমি ও পৌরনিগমের কাউন্সিলাররা এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দেখা করলাম । যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কর সংক্রান্ত নথি তৈরি করে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ।"
প্রসঙ্গত, 19 মে রাতে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 42 নম্বর ওয়ার্ডের সেবক রোডের রামকৃষ্ণ মিশনের 'সেবক হাউজে' হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা । জমি মাফিয়ারা ওই জমি দখলের জন্য মিশনের নিরাপত্তা কর্মী ও আবাসিকদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ ৷ এরপর ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে ভক্তিনগর থানার পুলিশ ।
আরও পড়ুন: