তুফানগঞ্জ, 14 নভেম্বর: তৃণমূলের নেতা ভেবে গুলি চালানোর ঘটনা ৷ লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন নেতার আত্মীয় ৷ বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে তুফানগঞ্জ-2 নম্বর ব্লকের মহিষকুচি-2 গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকোয়ামারি গ্রামে। অভিযোগের তির বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে । খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুলির খোল উদ্ধার করে বক্সিরহাট থানার পুলিশ ।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তৃণমূলের অভিযোগ, গত লোকসভা ভোটে মহিষকুচি-2 গ্রাম পঞ্চায়েতে ভালো ফল করেছে তৃণমূল। সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল করতেই তৃণমূল নেতা ভেবেই গুলি চালানো হয়েছে । যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি ।
মহিষকুচি-2 তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির চেয়ারম্যান তথা তুফানগঞ্জ-2 ব্লক তৃণমূলের সভানেত্রী চৈতি বর্মন বড়ুয়ার ছেলে নিহার বড়ুয়া । দলীয় কাজকর্মের উদ্দেশ্যে সপ্তাহের বেশিরভাগ সময়ে টাকোয়ামারি গ্রামে নিজের ক্রাসার মিলেই (বড় পাথর ভেঙে ছোট পাথর তৈরির মিল) থাকতেন তিনি । অভিযোগ, বুধবার রাতে দলীয় সাংগঠনিক কাজ সেরে কোচবিহারের বাড়িতে ফেরেন নিহার । রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ আচমকা ওই ক্রাসার মিলের ঘরের দরজা সাবল দিয়ে ভাঙা হয় ।
সেই সময়ে ওই ঘরে শুয়ে ছিলেন নিহারের ভাগ্নে। তাঁকেই তৃণমূল নেতা ভেবে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ । ওই সময় কোনওক্রমে জানালা দিয়ে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন তিনি । গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তা সিমেন্টের দেওয়ালে গিয়ে লাগে । এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বক্সিরহাট থানার পুলিশ ।
এই ঘটনায় নিহার বড়ুয়া জানান, বেশিরভাগ সময়ে মিলের ওই ঘরে রাতে থাকেন তিনি । গতকাল সন্ধ্যায় দলীয় কাজকর্ম সেরে কোচবিহারের বাড়িতে ফিরেছিলেন । রাতে খবর পান বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই ঘরের দরজা ভেঙে তাঁকে ভেবে বিছানায় শুয়ে থাকা তাঁর ভাগ্নেকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় । যদিও অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পায় তাঁর ভাগ্নে । মহিষকুচি-2 পঞ্চায়েত এলাকায় সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী তৃণমূল । তাই তাঁকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই গুলি চালানো হয়েছে । তবে এভাবে তৃণমূলকে ভয় দেখিয়ে রোখা যাবে না । দলের জন্য প্রাণ দিতেও প্রস্তুত তিনি ।
যদিও তৃণমূলের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা কমিটির সহ-সভাপতি উৎপল দাস জানান, সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন ।