মালদা, 4 এপ্রিল: ভোটের আবহেই প্রকাশ্যে শুট আউট কালিয়াচকে ৷ বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকের আলিপুর 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শেরশাহী গ্রামে ৷ এই ঘটনায় গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ৷ ঘটনাস্থল স্ট্যান্ড এলাকা হওয়ায় আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷ এই ঘটনায় এলাকার কয়েকজন সমাজবিরোধীর নামে কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে পুলিশি তল্লাশি ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শেরশাহীর বাসিন্দা 34 বছর বয়সি সাদ্দাম শেখ পেশায় শ্রমিক সরবরাহকারী ৷ বেশ বড় ব্যবসা তাঁর ৷ তাঁকে লক্ষ্য করেই এদিন বিকেলে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় ৷ যদিও অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান সাদ্দাম ৷ গুলির শব্দে লোকজন ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায় ৷ এই ঘটনায় সাহেব শেখ ও সুলতান শেখ-সহ কয়েকজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সাদ্দাম ৷
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সাহেব ও তার বাবা সুলতান শেখের সঙ্গে একসময় সাদ্দাম ব্যবসা করতেন ৷ কিন্তু আর্থিক লেনদেনের ঝামেলায় দু'পক্ষের সম্পর্কের অবনতি ঘটে ৷ সম্প্রতি সাদ্দাম একাই ব্যবসা চালাচ্ছিলেন ৷ এদিন বিকেলে সেই পুরোনো বিবাদের জেরে শেরশাহী স্ট্যান্ডে সুলতানের সঙ্গে সাদ্দামের তীব্র বচসা বাঁধে ৷ সেই সময় সুলতান ফোন করে তাঁর ছেলে সাহেবকে ডেকে পাঠান ৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই দলবল নিয়ে সাহেব সেখানে উপস্থিত হয় ৷ এরপরেই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে ৷
সাদ্দামের অভিযোগ, "একসঙ্গে ব্যবসা করার সুবাদে আমাদের মধ্যে টাকা-পয়সা দেওয়া নেওয়া চলত ৷ কিছুদিন আগে সুলতান আমার কাছ থেকে লাখখানেক টাকা ধার নেয় ৷ কিন্তু সে ওই টাকা আর ফেরত দিচ্ছিল না ৷ বারবার চাওয়ার পরেও টাকা না পেয়ে আমি আলাদা ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিই ৷ এর জন্যই আমি ওদের চক্ষুশূল হয়ে উঠি ৷ বুধবার বিকেলে আমি স্ট্যান্ডে আড্ডা দিচ্ছিলাম ৷ তখন পুরনো ঝামেলা নিয়ে সুলতানের সঙ্গে বচসা শুরু হয় ৷ হঠাৎ দলবল নিয়ে এসে ওর ছেলে আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেয় ৷ সৌভাগ্যবশত গুলি আমার গায়ে লাগেনি ৷ সুযোগ বুঝে ওরা এলাকা থেকে পালিয়ে যায় ৷ এই ঘটনায় আমি কালিয়াচক থানায় ওদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছি ৷ পুলিশের কাছে আবেদন, ওদের দ্রুত গ্রেফতার করা হোক ৷ এই ঘটনার পর থেকে আমি ও আমার পরিবার আতঙ্কে রয়েছি ৷"
কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ হামলাকারীদের খোঁজ চলছে ৷ তবে তারা কেউ এলাকায় নেই ৷ তাদের খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে ৷
আরও পড়ুন :