কলকাতা, 28 মার্চ: সিবিআই হেফাজত শেষ হয়েছে শেখ শাহজাহানের ৷ ফলত বৃহস্পতিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তাঁকে পেশ করা হয় সিবিআই'য়ের তরফে ৷ আদালতে এদিন সিবিআইয়ের তরফে চাঞ্চল্যকর দাবিতে জানানো হয় যে, শাহজাহানের নির্দেশেই 5 জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা চলেছিল ৷ তাঁর মোবাইলের কল রেকর্ড ও অন্যান্য তথ্য দেখে এমনটাই জানতে পেরেছেন ইডি আধিকারিকরা ৷ সব শুনে বিচারক তাকে 12 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ পাশাপাশি, অন্য আর একটি মামলায় আরও 5 দিনের জন্য জেল হেফাজত হয়েছে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশার ।
এদিন ভরা আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, "শাহজাহানের নির্দেশেই গত 5 জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা চলেছিল ৷ সে বাড়ির পাশ থেকে লুকিয়ে ফোন করে 'অনুগামী'দের জড়ো হতে বলেছিল ৷" শাহজাহানের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সুকোমল সর্দার এবং মেহেবুব মোল্লাকেও হাজির করানো হয় আদালতে। তাদের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ আছে। পরে তাদেরও 12 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বসিরহাট মহকুমা আদালত।
রাজ্য পুলিশ সূত্রের খবর, এই ঘটনার কয়েকদিন পর শাহজাহান ‘ঘনিষ্ঠ’ অজিত মাইতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ ছ’দিনের পুলিশ হেফাজত শেষে বৃহস্পতিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয় অজিতকে। এদিন বসিরহাট মহকুমা আদালতে সন্দেশখালি থানার পুলিশ 76 নম্বর মামলায় অজিতের 7 দিনের পুলিশ হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে। আদালত 5 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যে রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে জেরা করে শেখ শাহাজাহানের নাম পান তদন্তকারীরা। সেই মতই 5 জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালান ইডি আধিকারিকরা ৷ অভিযোগ, সেই সময়েই স্থানীয়দের হাতে নিগৃহীত হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এমনকী বেশ কয়েকজন তদন্তকারী আধিকারিকদের মাথা ফেটেছিল ৷ তিন আধিকারিককে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল। এই হামলার ঘটনায় শাহজাহান ঘনিষ্ঠ অজিতের নাম উঠে আসে ৷ তারপর থেকেই বেপাত্তা ছিল শাহজাহান ৷ শুধু ইডি আধিকারিক নয়, শাহজাহানের অনুগামীদের বিরুদ্ধে একাধিক অত্যাচারের প্রকাশ্যে আসে । অভিযোগ ওঠে রাতের অন্ধকারে মহিলাদের অত্যাচার করত শেখ শাহাজাহান, তার ভাই আলমগীর ও সিরাজ-সহ তার দলবল ৷ অবশেষে তাকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
আরও পড়ুন: