কলকাতা, 7 এপ্রিল: প্রথমে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ, দ্বিতীয় দফায় সিবিআই ৷ আর বর্তমানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে রয়েছে সন্দেশখালির একদা 'বাঘ' বলে পরিচিত শেখ শাহজাহান ৷ রবিবার দুপুরে সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্স থেকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সেখানে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় ৷ সাংবাদিকরা শেখ শাহজাহানকে জিজ্ঞাসা করেন, কে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে ? জবাবে ফের আগের ভঙ্গিতেই আঙুল উঁচু করে কিছুটা ম্লান হয়ে শেখ শাহাজাহান বলেন, "আমার আল্লা আছে"।
এরপর সাংবাদিকদের তরফ থেকে প্রশ্ন করা হয়, দল আর আপনার পাশে নেই, এতে আপনি কী বলবেন ? এর উত্তরেও মাথা নিচু করে শেখ শাহজাহান বলেন, "আমার সঙ্গে আল্লা আছে ৷" এই বলে তিনি গাড়িতে উঠে যান ৷ এপ্রিলের শুরুতে শেখ শাহজাহানকে ইডি হেফাজতে নেওয়ার দিন সাংবাদিকদের শাহজাহান বলে, "আমায় ফাঁসানো হচ্ছে ৷"
এর মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে শেখ শাহজাহানের এই ভোলবদল ৷ এবার সে সব প্রশ্নের উত্তরেই আল্লার নাম করল সন্দেশখালি কাণ্ডের 'মাস্টারমাইন্ড' ৷ রাজ্যে রেশন দুর্নীতি মামলায় তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতারির পর প্রথম শাহজাহানের নাম জানতে পারেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা ৷ এরপর 5 জানুয়ারি উত্তর 24 পরগনার সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে যায় ইডি ৷ সেখানে কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে ৷
ঘটনায় আহত হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা ৷ তারপর থেকেই বেপাত্তা ছিল শাহজাহান ৷ 55 দিন পর সন্দেশখালির মিনাখাঁ থেকে তাকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ ৷ এরপর বিস্তর টানাপোড়েন শেষে আদালতের নির্দেশে তাকে তুলে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে ৷ বেশ কিছুদিন সিবিআই হেফাজতে কাটিয়ে এখন সন্দেশখালির শাহজাহান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে রয়েছে ৷
আরও পড়ুন: