কলকাতা, 27 মার্চ: নিজের ভাটার ইট চিনতে অস্বীকার সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশা' শেখ শাহজাহানের। বর্তমানে সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকা শেখ শাহজাহানের মতো এক অভিযুক্তকে ইট বা ইটের টুকরো দেখিয়ে কেন জেরা করছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা?
জানা গিয়েছে, রাজ্যে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে তদন্ত নেমে গোয়েন্দাদের সন্দেশখালিতে প্রহৃত হতে হয়েছিল। ভাঙচুর করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের গাড়ি। ভাঙাচোরা গাড়িগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটরের গাড়ি থেকে যে ইট এবং ইটের টুকরো পাওয়া যায়, সেখান থেকেই ব্রেক থ্রু পেয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের অভিযোগ, ইডির আক্রান্ত হওয়া গাড়ির মধ্যে থেকে যে ইটের টুকরো পাওয়া গিয়েছিল, তার গায়ে লেখা রয়েছে 'এসকেএসটি'।
আর তদন্ত নেমে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন শাহজাহানের যে একাধিক ইটভাটা রয়েছে, সেই ভাটাগুলিতে তৈরি হওয়া ইটের গায়েও লেখা 'এসকেএসটি'। শেখ শাহজাহানের ইটভাটায় তার নিজের নামেই ইট বিক্রি করা হয়। সিবিআই সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা সেই ইটের টুকরো দেখিয়ে শেখ শাহজাহানকে জেরা করেন ৷ কিন্তু নিজের ভাটায় নাম লেখা ইটের টুকরো দেখে নাকি চিনতেই পারছে না শেখ শাহজাহান।
সিবিআই সূত্রের খবর, জেরায় শেখ শাহজাহান বলেন এটা তার ভাটার ইট না। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, যদি এই ইট তার ভাটার না-হয়ে থাকে, তাহলে কেন ইটের গায়ে একই নাম? কিন্তু সিবিআই সূত্রের খবর, শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীরকে যখন সংশ্লিষ্ট ইটের টুকরো দেখিয়ে জেরা করা হয় তখন সে স্বীকার করে নেয় যে; এটি তার দাদার ভাটায় বানানো ইট। তদন্তকারীদের দাবি, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে 5 জানুয়ারি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা শেখ শাহজাহানের ন্যাজাটের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাবে তার আগাম খবর পেয়েই নিজের সাগরেদ ও সমর্থকদের নিয়ে নিজের ইটভাটা থেকেই প্রায় হাজার পাঁচেক ইট বাড়ির আশেপাশে মজুত রেখেছিল শাহজাহান।
আরও পড়ুন: