কলকাতা, 2 মার্চ: 5 জানুয়ারি ইডি আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন শেখ শাহজাহান এবং তাঁর ডান হাত হিসেবে পরিচিত আমির আলি গাজি ৷ সিআইডি শেখ শাহজাহানকে ভবানী ভবনে দফায় দফায় জেরা করছে ৷ আর সেই জিজ্ঞাসাবাদেই উঠে এল নয়া তথ্য ৷ সিআইডি সূত্রে খবর, 5 জানুয়ারি ইডি-র উপর হামলার পর 15 দিন শাহজাহান এবং আমির আলি সন্দেশখালির আকুঞ্জিপাড়ায় গা-ঢাকা দিয়েছিলেন ৷ 15 দিন পর দু’জনে আলাদা হয়ে যায় বলে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে ৷
শুধু তাই নয়, এরপর সন্দেশখালিতে গত কয়েকবছরে শেখ শাহজাহানের একের পর এক বেআইনি কাজের খবর বেরোতে শুরু করে, তখন ঘন ঘন এলাকা বদলাতে শুরু করে তাঁরা ৷ সিআইডি সূত্রে খবর, আমির আলি গাজি মণিপুর গ্রাম থেকে শুরু করে ঝুপখালি, ভোলাখালি, ধুচনিখালির মতো দ্বীপাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় আত্মগোপন করেছিলেন ৷ কিন্তু, সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিল না শেখ শাহজাহান ৷ তবে, কোথায় ছিল সন্দেশখালির 'বাঘ' !
সিআইডি সূত্রে খবর, আমির আলি গাজিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ৷ তবে, নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আগে তাঁকে প্রাথমিকভাবে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডির গোয়েন্দারা ৷ জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে আমির আলি গাজি জানিয়েছে, যখন এলাকার লোকজন এবং পুলিশ এলাকায় টহল দিচ্ছিল তাঁদের খোঁজে ৷ ঠিক সেই সময় বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানা দিয়ে তাঁর বাইরের রাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার একটা পরিকল্পনা ছিল ৷ তবে, সেটা সম্ভব হয়নি ৷ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তার আগেই আমির আলিকে গ্রেফতার করে ৷
উল্লেখ্য, এই সন্দেশখালি-কাণ্ড, জমি জবর দখল ও নারী নির্যাতনের মতো ঘটনা সামনে আসার পিছনে রয়েছে রেশন দুর্নীতি-কাণ্ডে ইডির দতন্ত ৷ উত্তর 24 পরগনার ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশির পর, তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷ সেখান থেকে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম পেয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷ জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক উত্তরে অসংগতি মেলার পর, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কেও গ্রেফতার করে ইডি ৷ আর এরপরেই উঠে আসে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা বলে পরিচিত শেখ শাহজাহানের নাম ৷ আর পরবর্তী সময়ে তাঁর নানান কীর্তিকলাপ ৷
আরও পড়ুন: