কলকাতা, 16 মে: তৃণমূলের বিরুদ্ধে গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ের দ্বারস্থ বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা ৷ বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ জানিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয় ডেপুটেশন জমা দেন বিজেপি নেতা । মেদিনীপুর লোকসভার অন্তর্গত চণ্ডীপুর বিধানসভায় কর্মসূচি শেষ করে বুধবার রাতে যখন শঙ্কুদেব ফিরছিলেন তখন দলীয় কার্যালয়ের কাছাকাছি এলাকাতেই তাঁর গাড়ির উপর আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ ৷ বিজেপি নেতার দাবি, চারজন ব্যক্তি বাইকে করে এসে হামলা চালায় । এর মধ্যে তিনজন বাইক নিয়ে পালিয়ে গেলেও একজনকে দলীয় কর্মীরা ধরে ফেলে ।
এই বিষয়ে শঙ্কুদেব পণ্ডা জানান, 2023 সালে বিরোধী দলনেতা গাড়িতেও এরকম ঘটনা ঘটে ৷ তাতে একজনের মৃত্যু হয়। পরে তাঁর দেহ নিয়ে তৃণমূলের নেতারা কাঁথিতে বিক্ষোভ দেখায়। তৃণমূল 302 ধারায় মামলা করে। তিনি বলেন, "গতকাল আমি যখন বৈঠক করতে যাই তখন চণ্ডীপুরে আমার গাড়ির উপর হামলা চালানো হয়। চণ্ডীপুরে তৃণমূল স্কোয়াড তৈরি করেছে । মানুষের চুল যারা পাচার করে তাদের মদ খাওয়ান বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। তাঁর সঙ্গে চুল মাফিয়ার সম্পর্ক রয়েছে । সেখানে বেআইনি অস্ত্র ও টাকা ব্যবহার করে চক্রান্ত করে বিজেপির বিরুদ্ধে মামলা করে যাতে নির্বাচন থেকে আমাদের বিরত রাখা যায় । গতকালের ঘটনা ঘটার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে । চুল পাচারকারী মাফিয়ার চক্রান্তে বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে তৃণমূল এই ঘটনা ঘটিয়েছে । শুভেন্দু অধিকারীর মতো আমাকেও ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে । হারার ভয়ে এই সব ঘটনা ঘটাচ্ছে তৃণমূল ।"
শঙ্কুদেবের আরও অভিযোগ, গতকাল রাতের ঘটনা ওখানকার রিটার্নিং অফিসারকে জানানো হয়েছে । থানায় অভিযোগও করা হয়েছে তবে চণ্ডীপুর থানা এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি । স্যাটেলাইট পুলিশিং এর মাধ্যমে পুলিশকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। এসপি ডিএম এডিএম এবং বিডিওরা সরাসরি এদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ।
তাঁর আরও অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অনেক জায়গায় আটকানো হচ্ছে । শুক্রবার চণ্ডীপুর বাজারে বিজেপি প্রতিবাদ করবে। নির্বাচন শেষ হওয়ার আগেই তৃণমূল মানুষকে খুন করে । মন্তেশ্বরে বিজেপির এক কর্মীকে খুন করা হয়েছে । বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে অস্ত্র ব্যাবহার করছে চুল মাফিয়ারা । গতকালের এই ঘটনায় আইসি বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন শঙ্কুদেব পণ্ডা ।
আরও পড়ুন :