মালদা, 22 মার্চ: গণির ভিটেয় গর্জন শাহনাওয়াজের ৷ যেদিন দক্ষিণ মালদার কংগ্রেস প্রার্থী প্রচারের ময়দানে নামলেন, ঠিক সেদিনই গণি খান চৌধুরীদের ভিটেতেই দাপিয়ে প্রচার করলেন তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রায়হান ৷ ঈশা খান চৌধুরী ও তাঁর পরিবার সম্পর্কে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেও রায়হান জানিয়ে দিলেন, এবারের ভোটে কংগ্রেস তাঁর কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীই নয় ৷ লড়াই বিজেপির সঙ্গে ৷ তাই প্রচারেও কংগ্রেস নিয়ে খুব একটা শব্দ খরচ করেননি তিনি ৷ তোপ দেগেছেন বিজেপির বিরুদ্ধে ৷
কয়েকদিন ধরে প্রচার চালালেও রায়হানের সঙ্গে জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের খুব একটা দেখা যায়নি ৷ এদিনও তাঁর সঙ্গে ছিলেন শুধুমাত্র জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ প্রতিভা সিংহ ৷ সকালে কোতোয়ালি মন্দির প্রাঙ্গণে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পরিচিত হন তিনি ৷ অনেক আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন বেশ কিছু মহিলা ৷ তাঁদের আশা ছিল, হয়তো রায়হান মন্দির প্রাঙ্গণে তাঁদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন ৷ সেখানে কোনও বক্তব্য দেননি তৃণমূল প্রার্থী ৷ এই নিয়ে কয়েকজন মহিলাকে খেদোক্তি করতেও শোনা যায় ৷
মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে এলাকায় পদযাত্রা শুরু করার আগে ইটিভি ভারতকে রায়হান বলেন, "প্রচারে খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি ৷ দলীয় কর্মীরা যে এভাবে আমাকে ভালোবাসা, স্নেহ দিচ্ছেন তাতে আমি যে প্রচারকে এভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব সেটা ভাবিনি ৷ কর্মীদের জন্যই এখনও পর্যন্ত প্রচারে অন্য দলগুলির থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি যে এত মেঠোস্তরে পৌঁছে গিয়েছে, মানুষ যে এসব পেয়ে এত অভিভূত, আগে ভাবতে পারিনি ৷ সব কিছু দেখে আমি আশাবাদী ৷ এবার দক্ষিণ মালদায় জোড়া ঘাসফুল ফুটছেই ৷"
রায়হানের মন্তব্য, "দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রে বিজেপিই আমার প্রধান প্রতিপক্ষ ৷ কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরীকে ব্যক্তি হিসাবে শ্রদ্ধা করি ৷ উনি মৃদুভাষী ৷ খুব ভালো মনের মানুষ ৷ তাঁর পরিবারকেও আমি শ্রদ্ধা করি ৷ কিন্তু লড়াইয়ের ময়দানে তাঁকে একবিন্দু জমি ছাড়ব না ৷ কেউ ছাড়বে না ৷ দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রে এত বছর সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও কংগ্রেসের ব্যর্থতা প্রচারে তুলে ধরব ৷ গণি খান চৌধুরী আমাদের সবার নয়নের মণি ৷ তাঁর পরবর্তী প্রজন্ম তাঁর উত্তরসূরি হয়ে দক্ষিণ মালদায় প্রতিনিধিত্ব করতে পারতেন ৷ কিন্তু তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন ৷ সেটাই আমি প্রচারে তুলে ধরব ৷"
ঊনিশের বিধানসভা নির্বাচনে রেকর্ড ভোটে জেতার পর আবদুল গণিকে এলাকায় দেখা যায়নি ৷ এই নিয়ে মানুষের ক্ষোভ আঁচ করে রায়হান আগেই জানিয়েছিলেন, সুজাপুরের মানুষের কাছে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে ৷ এই প্রসঙ্গে এদিন রায়হান বলেন, "সুজাপুরের সবাই যে গনি সাহেবের বিরুদ্ধে তা নয় ৷ সুজাপুরের জন্য যথেষ্ট অবদান আছে তাঁর ৷ আমি আশা করছি প্রচারের একটি পর্বে তিনি আমাকেও সঙ্গ দেবেন ৷ সুজাপুরের মানুষের মধ্যে তৃণমূলকে জেতানোর তাগিদ দেখে আমি যথেষ্ট আশাবাদী ৷ জেলাস্তরের নেতা-নেত্রীদের সবাই আমার সঙ্গে রয়েছেন ৷ প্রতিভা সিনহা ব্রিগেড থেকে আমার সঙ্গে রয়েছেন ৷ জেলা নেতৃত্ব আমাকে 100 শতাংশ সহযোগিতা করছে ৷"
আরও পড়ুন :