কলকাতা, 12 অগস্ট: আরজি কর কাণ্ডের জল এবার গড়াল আদালতের চৌহদ্দিতে ৷ সোমবার এই নিয়ে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে ৷ সিবিআই বা বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে মোট চারটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে ৷ একটি মামলা দায়ের হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তরফে ৷ এ দিন প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানমের কাছে মামলা দায়েরের অনুমতি চাওয়া হয় তিনি অনুমতি দেওয়ার পর মামলা দায়ের হয় ৷ আগামিকাল মঙ্গলবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে ৷
গত শুক্রবার আরজি করে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ডাক্তারির পড়ুয়া এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয় ৷ ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল কলকাতা ৷ চিকিৎসক থেকে মেডিক্যাল ছাত্র-ছাত্রীরা যেমন আন্দোলন করছেন, তেমন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও আন্দোলনে নেমেছে ৷ সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন অনেকে ৷
যদিও এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তার পরও প্রশ্ন উঠছে যে এই ঘটনায় কি আদৌ প্রকৃত দোষীরা গ্রেফতার হয়েছে ? সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে যে মামলা দায়ের হয়েছে, সেখানেও তোলা হয়েছে একই প্রশ্ন ৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশ ৷ তবে জনস্বার্থ মামলাগুলিতে সিবিআই বা নিরপেক্ষ বিচারবিভাগীয় তদন্তের আরজি জানানো হয়েছে ।
আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনেছেন ৷ তাঁর বক্তব্য, বছর দশেক আগে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্য়ায়ের ফাঁসি হয়েছিল । সেখানে প্রকৃত দোষী যেমন খুঁজে পাওয়া যায়নি বা ধনঞ্জয় আদৌ দোষী কি না, তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি । আরজি করের ঘটনাতেও তেমন যেন না হয় !
আরেক আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচি বলেন, ‘‘সিবিআই তদন্ত হোক । রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে পর্যাপ্ত সিসিটিভি লাগানো হোক । কারণ, আরজি করে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ছিল না বলে বারবার উল্লেখ করা হচ্ছে । হাসপাতালের বর্তমান অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও হাসপাতাল সুপার সঞ্জয় বশিষ্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক । প্রকৃত দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক ।’’
আইনজীবী ঝুমা সেন জানালেন, নিরপেক্ষ তদন্ত-সহ একাধিক দাবি রয়েছে তাঁদের । সেগুলো আদালতেই জানাবেন তাঁরা । তবে আদালতের তত্ত্বাবধানে নিরপেক্ষ বিচারবিভাগীয় তদন্ত হোক চাইছেন তাঁরা । আইনজীবী তাপসকুমার ভঞ্জ জানান, রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে অবিলম্বে পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য আদালত হস্তক্ষেপ করুক ৷