হাড়োয়া, 23 অক্টোবর: উপনির্বাচনে প্রার্থী না পসন্দ ! তা নিয়েই বুধবার হাড়োয়ায় একের পর এক পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিলেন বিজেপি কর্মীরা ৷ দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন পেশের দিনই প্রকাশ্যে এল গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ৷ তা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে হাড়োয়া বিজেপি ৷
প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে টাকার লেনদেন হয়েছে বলেও গুরুতর অভিযোগ এনেছেন ক্ষুদ্ধ কর্মীদের একাংশ। পদ্মপ্রার্থী বিমল দাস গুরুত্ব দিতে না চাইলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শাসক শিবির ।
তাঁদেরই একজন বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্য অঞ্জলি মজুমদার। তাঁর দাবি, "দলীয় প্রার্থী বিমল দাসের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই এলাকায় । তিনি তাঁর নিজের বুথ থেকেই নির্বাচনে লিড দিতে পারেন না । সাংগঠনিক দক্ষতা না থাকার পরও তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে । ভোট এলেই বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ ছিনিমিনি খেলেন প্রার্থী বাছাই নিয়ে ।" ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের একাংশের আরও দাবি,"পঞ্চায়েতের বুথ স্তরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা না করেই এই প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে । তাঁদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি । তাই দলীয় প্রার্থী বিমল দাসকে মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা । সেই কারণে এই ঘটনা ৷"
তবে এই বিক্ষোভের নেপথ্যে তৃণমূলের থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন হাড়োয়ার বিজেপি প্রার্থী বিমল দাস । তিনি বলেন,"যাঁরা পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়েছেন তাঁরা দলের কেউ নন ! অন্য দলের হতে পারে। আমি আমার জয়ের বিষয়ে 100 শতাংশ নিশ্চিত। মানুষ ভয়ে সন্ত্রস্ত হয়ে আছেন । মানুষ যদি তাঁদের ভোটাধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে ভারতীয় জনতা পার্টির জয় কেউ আটকাতে পারবে না ।"
এই বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা কৌশিক দত্ত বলেন,"হাড়োয়া উপনির্বাচনের আগেই বিজেপি হেরে বসে আছে। এখনও উপনির্বাচন শুরুই হয়নি । তার আগেই ওঁরা নিজেদের মধ্যে মারপিট করে বেড়াচ্ছে । মানুষ সব দেখছে । তৃণমূল প্রার্থীর জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা ।"