বহরমপুর, 5 জুলাই: ফের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একাধিক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গত 24 ঘণ্টায় সাত শিশুর মৃত্যুর খবর সামনে আসায় উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে ৷ একসঙ্গে এতগুলো শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ পরিবার-পরিজনদের ৷ ঘটনা কাল রাত থেকে
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল অমিত দাঁ বলেন, "হাসপাতালে যাদের চিকিৎসার জন্য আনা হয় তাদের সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা আমরা দিয়ে থাকি। তবে রেফার করা সব শিশুকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। অপুষ্টি বা অন্যান্য কারণে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার জন শিশুর মৃত্যু হয়। এটা সেই ঘটনায়। সংখ্যাটা তার বেশি নয়।"
জানা গিয়েছে, গতকাল রাত থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে চিকিৎসা জন্য আনা নবজাতকের মৃত্যুর খবর সামনে আসে ৷ সকালেও সেই ঘটনা অব্যহত হলে পরিবার-পরিজনের অনেকে মৌখিকভাবে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন ৷ তবে থানায় কোনও রকম লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি ৷ হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, যে সকল নবজাতক মারা গিয়েছে, তারা অপুষ্টির শিকার ছিল ৷ ফলে চিকিৎসকরা শত চেষ্টা করেও তাদের বাঁচাতে পারেনি ৷
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একদিনে 10 জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে ৷ ঘটনা রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। পরিস্থিতি, পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে জেলায় আসেন স্বাস্থ্য দফতরের তিনজনের আধিকারিক দল। তখন জানানো হয়েছিল, মৃত শিশুর অধিকাংশ জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে ক্রিটিক্যাল পরিস্থিতিতে রেফার করা হয়েছিল।
কারণ সে সময় আপতকলীন পরিস্থিতিতে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের এসএনসিইউ বিভাগে কাজ চলছিল। যাদের রেফার করা হয়েছিল তাদের অধিকাংশ অপুষ্টিজনিত কারণে জন্মেছিল।সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আবারও ঘটল হাসপাতালে ৷ ঘটনায় সন্তান হারানো মা ও পরিজনেদের সঙ্গে চিকিৎসকদের বচসা শুরু হয় ৷