ETV Bharat / state

10 হাজার টাকার জন্য পিসিকে খুন ভাইপোর, 24 ঘণ্টার মধ্যে গল্ফগ্রিন-কাণ্ডের কিনারা লালবাজারের - GOLF GREEN MURDER

গল্ফগ্রিনে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ভাইপো সাবির আলিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ৷ টাকার জন্যই পিসিকে খুন বলে গোয়েন্দাদের অনুমান ৷

golf green murder
গল্ফগ্রিন-কাণ্ডে মৃতের ভাইপোকে গ্রেফতার পুলিশের (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 16, 2025, 1:15 PM IST

কলকাতা, 16 জানুয়ারি: দশ হাজার টাকা না পেয়ে ভাইপোর হাতে খুন মহিলা । 24 ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই গল্ফগ্রিন-কাণ্ডে মূল আততায়ীকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ । এই ঘটনা নিয়ে ইটিভি ভারতকে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার বলেন, "অভিযুক্তের নাম সাবির আলি । তাকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে গোটা খুনের দায় স্বীকার করে নেয় ।"

লালবাজার সূত্রে খবর, বুধবার গভীর রাতের সাবির আলিকে আটক করে গল্ফগ্রিন থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাফিসা খাতুন নামে ওই মৃত মহিলা সম্পর্কে তাঁর পিসি । নাফিসার কাছে সাবির আলি 10 হাজার টাকা চেয়েছিলেন । কিন্তু 10 হাজার টাকা তিনি কোনওভাবেই নাফিসার কাছ থেকে পাচ্ছিলেন না । গতকাল ফের নাফিসার কাছ থেকে 10 হাজার টাকা চান সাবির । নাফিসা ওই টাকা না দিয়ে তার পরিবর্তে সাবিরকে প্রচণ্ড তিরস্কার করেন বলে অভিযোগ ।

পুলিশের দাবি সাবির আলি এও জানিয়েছেন, শুধু তিরস্কার নয়, বরং তাঁকে নাফিসা মারধরও করেন । এর প্রতিশোধ স্বরূপ সাবির বুধবার সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী একটি মাংসের দোকান থেকে চপার নিয়ে এসে বাড়িতে ঢুকে নাফিসাকে এলোপাথাড়িভাবে কোপ মারতে থাকেন । এরপর পিসির মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য সাবির নাফিসার গলায় ওই চপার দিয়ে একাধিকবার আঘাতও করেন বলে দাবি পুলিশের ।

অভিযোগ, পরে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় পিসির দেহ খাটের তলায় ঢুকিয়ে রাখেন তিনি । এই ঘটনায় যাতে কারও কোনও সন্দেহ না হয় তার জন্য একটি শুকনো কাপড় দিয়ে মেঝেতে পড়ে থাকা রক্তের চিহ্ন তিনি মুছেও দেন বলে অভিযোগ । এরপরেই সন্ধ্যা সাতটা থেকে সাড়ে সাতটা নাগাদ নাফিসার মা বাড়িতে আসেন ৷ তিনি মেয়েকে একাধিকবার ডাকাডাকি করলেও নাফিসার সাড়া শব্দ পাননি ৷ তারপরেই তিনি নাফিসার খোঁজ শুরু করেন । পরে টর্চ জ্বালিয়ে খাটের তলায় নাফিসার দেহ দেখতে পান তাঁর মা । খবর দিলে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় ৷

তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ জানতে পারে, নাফিসাকে হত্যা করার পর চাবি দিয়ে তাঁর আলমারি খুলে সেখান থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে যান সাবির । তবে এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত রয়েছে কি না সেই বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে । অভিযুক্ত সাবির আলিকে আজ আলিপুর পুলিশ আদালতে পেশ করা হবে । তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই ঘটনায় আর কোন কোন দিক রয়েছে, সেগুলি খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা ।

উল্লেখ্য, বুধবার গল্ফগ্রিন থানা এলাকায় নাফিসা খাতুন নামে 38 বছরের মহিলার দেহ উদ্ধার হয় । তাঁর দেহ নিজের বাড়ির খাটের তলা থেকে উদ্ধার করা হয় । গতকাল রাতেই স্থানীয় থানায় খুনের মামলা রুজু করে কলকাতা পুলিশ । পরে পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ এবং সিসিটিভি ফুটেজ ঘেঁটে মূল অভিযুক্তের সন্ধান পান কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা ।

কলকাতা, 16 জানুয়ারি: দশ হাজার টাকা না পেয়ে ভাইপোর হাতে খুন মহিলা । 24 ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই গল্ফগ্রিন-কাণ্ডে মূল আততায়ীকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ । এই ঘটনা নিয়ে ইটিভি ভারতকে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার বলেন, "অভিযুক্তের নাম সাবির আলি । তাকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে গোটা খুনের দায় স্বীকার করে নেয় ।"

লালবাজার সূত্রে খবর, বুধবার গভীর রাতের সাবির আলিকে আটক করে গল্ফগ্রিন থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাফিসা খাতুন নামে ওই মৃত মহিলা সম্পর্কে তাঁর পিসি । নাফিসার কাছে সাবির আলি 10 হাজার টাকা চেয়েছিলেন । কিন্তু 10 হাজার টাকা তিনি কোনওভাবেই নাফিসার কাছ থেকে পাচ্ছিলেন না । গতকাল ফের নাফিসার কাছ থেকে 10 হাজার টাকা চান সাবির । নাফিসা ওই টাকা না দিয়ে তার পরিবর্তে সাবিরকে প্রচণ্ড তিরস্কার করেন বলে অভিযোগ ।

পুলিশের দাবি সাবির আলি এও জানিয়েছেন, শুধু তিরস্কার নয়, বরং তাঁকে নাফিসা মারধরও করেন । এর প্রতিশোধ স্বরূপ সাবির বুধবার সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী একটি মাংসের দোকান থেকে চপার নিয়ে এসে বাড়িতে ঢুকে নাফিসাকে এলোপাথাড়িভাবে কোপ মারতে থাকেন । এরপর পিসির মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য সাবির নাফিসার গলায় ওই চপার দিয়ে একাধিকবার আঘাতও করেন বলে দাবি পুলিশের ।

অভিযোগ, পরে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় পিসির দেহ খাটের তলায় ঢুকিয়ে রাখেন তিনি । এই ঘটনায় যাতে কারও কোনও সন্দেহ না হয় তার জন্য একটি শুকনো কাপড় দিয়ে মেঝেতে পড়ে থাকা রক্তের চিহ্ন তিনি মুছেও দেন বলে অভিযোগ । এরপরেই সন্ধ্যা সাতটা থেকে সাড়ে সাতটা নাগাদ নাফিসার মা বাড়িতে আসেন ৷ তিনি মেয়েকে একাধিকবার ডাকাডাকি করলেও নাফিসার সাড়া শব্দ পাননি ৷ তারপরেই তিনি নাফিসার খোঁজ শুরু করেন । পরে টর্চ জ্বালিয়ে খাটের তলায় নাফিসার দেহ দেখতে পান তাঁর মা । খবর দিলে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় ৷

তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ জানতে পারে, নাফিসাকে হত্যা করার পর চাবি দিয়ে তাঁর আলমারি খুলে সেখান থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে যান সাবির । তবে এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত রয়েছে কি না সেই বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে । অভিযুক্ত সাবির আলিকে আজ আলিপুর পুলিশ আদালতে পেশ করা হবে । তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই ঘটনায় আর কোন কোন দিক রয়েছে, সেগুলি খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা ।

উল্লেখ্য, বুধবার গল্ফগ্রিন থানা এলাকায় নাফিসা খাতুন নামে 38 বছরের মহিলার দেহ উদ্ধার হয় । তাঁর দেহ নিজের বাড়ির খাটের তলা থেকে উদ্ধার করা হয় । গতকাল রাতেই স্থানীয় থানায় খুনের মামলা রুজু করে কলকাতা পুলিশ । পরে পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ এবং সিসিটিভি ফুটেজ ঘেঁটে মূল অভিযুক্তের সন্ধান পান কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.