কলকাতা, 29 জানুয়ারি: এসএসসি প্রার্থীদের চাকরি বাতিল নিয়ে সিপিএমের অন্দরে শুরু হল বিতর্ক ৷ 26 হাজার প্রার্থীর চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও দলের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের মধ্যে মতানৈক্য ৷ সুপ্রিম কোর্টে পুরো প্যানেল বাতিলের দাবি জানান সিপিএম নেতা ৷ কিন্তু দলের ছাত্র সংগঠন বিকাশরঞ্জনের দাবি মানতে নারাজ ৷
সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে চাকরি বাতিলের শুনানি শুরু হয় ৷ শুনানির সওয়াল-জবাব পর্বে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জানতে চান, 26 হাজার প্রার্থীর নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব কি না ৷ উত্তরে মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য পুরো প্যানেল বাতিলের কথা জানান ৷ তাঁর অভিযোগ, পরীক্ষা না দিয়েও অনেকে চাকরি পেয়েছেন ৷ সুতরাং, আবেদনকারীদের নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হোক ৷
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে । তাই গোটা প্যানেল বাতিল করা উচিত । রাজ্যের উচিত ছিল স্বচ্ছভাবে কাজ করা । কিন্তু রাজ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রত্যেকে আলাদা আলাদা কথা বলেছে। কারও কথার মিল পাওয়া যাচ্ছে না । পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে । তাই, সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে ।"
মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দেয় এসএফআই ৷ কার্যত উল্টো সুর শোনা গেল দলের রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে'র মুখে ৷ সংগঠন প্যানেল বাতিলের পক্ষে নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি ৷ তাঁর কথায়, "26 হাজার নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করা উচিত নয় । যোগ্য ও অযোগ্য নির্ধারণের কাজ রাজ্য সরকারের ৷ আদালত আইনের বিষয়টি দেখবে । কিন্তু, যেখানে কারচুপি হয়েছে, যারা কারচুপি করিয়েছে তারাই যোগ্য-অযোগ্য নির্ধারণ করুক । এটাই সরকারের কাজ ।"
এরপর বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর দাবির প্রসঙ্গ টেনে এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক বলেন, "বিকাশবাবু আইনের দিক থেকে নিশ্চয়ই বিবেচনা করে বলেছেন । কিন্তু, আমাদের মতে কারা যোগ্য এবং কারা অযোগ্য, তা আলাদা করতে হবে । কারা ফের পরীক্ষা দেবেন বা কারা দেবেন না, তা আমরা ঠিক করে দিতে পারি না ।" এর পাল্টা সিপিএম নেতার দাবি, "এসএফআই দিয়ে তো আইন চলবে না । তাছাড়া কলকাতা হাইকোর্ট যেটা বলেছিল সেই বিষয়টাই আমি আদালতে জানিয়েছি । একই বিষয় নিয়ে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মত থাকতেই পারে । একাধিক ইস্যুতে বিতর্ক, দ্বিমত থাকাটাই স্বাভাবিক । এতে অন্যায়ের কিছু নেই ।"