জলপাইগুড়ি, 1 এপ্রিল: আচমকা টর্নেডোয় তছনছ হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ প্রশাসন সূত্রে খবর, এর ফলে প্রায় 1 হাজার 500 বাড়ি ভেঙে পড়েছে ৷ মৃত্যু হয়েছে 4 জনের ৷ রবিবার গভীর রাতেই জলপাইগুড়ি পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আজ সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ এমনকী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও সেখানে যেতে পারেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর ৷
সোমবার সকালে রাজ্যপাল জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন ৷ সকাল 10টা নাগাদ জলপাইগুড়ির সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রাজ্যপালের আসার কথা ৷ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন 46 জন ৷ হাসপাতালে ঝড়ে আহতদের দেখার পর ময়নাগুড়িj বার্ণিশ গ্রামে যাবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ সেখানে গ্রামের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তিনি ৷ পাশাপাশি মৃত 4 জনের বাড়িতেও যাওয়ার কথা রয়েছে রাজ্যপালের ৷ রাজ্যপাল আসার আগে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে ৷ পুলিশের পক্ষ থেকে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছে পুলিশের একটি দল ৷ চলছে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেকিং ।
ঘটনার পরই শোকপ্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সেই সঙ্গে, বিজেপি নেতা-কর্মীদের দ্রুত বিপদগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ রবিবার কয়েক মিনিটের কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লণ্ডভণ্ড হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার একাংশ ৷ একাধিক জায়গায় গাছের ডাল ভেঙে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় ৷ পুলিশ, দমকল ও পৌরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দল পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে ৷ বেশ কয়েকটি ঝুপড়ি ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, গাছ উপড়ে এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ার কারণে শিলাবৃষ্টি-সহ প্রবল বাতাস জেলা সদর শহরের বেশিরভাগ অংশ এবং পার্শ্ববর্তী ময়নাগুড়ির অনেক এলাকায় আঘাত হানে ৷
আরও পড়ুন: