শ্রীরামপুর, 9 মে: লরির ধাক্কায় পিষে গেল টোটো। তাতেই মৃত্যু হয়েছে চারজনের । ঘটনাটি শ্রীরামপুরের বাঙ্গিহাটিতে দিল্লি রোডের। বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে 8টা নাগাদ শ্রীরামপুরের দিক থেকে কোন্নগরের দিকে পাট ডানকুনি যাচ্ছিল একটি টোটো। পিছন থেকে একটি লরি দ্রুত গতিতে এসে টোটোটিকে ধাক্কা মারে। ধাক্কা মারার পর টোটোটিকে টেনে নিয়ে গিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরি পিষে দেয়। টোটোয় থাকা বছর নয়ের এক নাবালিকা উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কলকাতায় তাকে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ বাকিদের উদ্ধার করার কাজ চলেছে ।
ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ঘাতক লরি-সহ কয়েকটি লরিতে ভাঙচুর চালায়। অভিযোগ, লরির চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিল। কোনও নিয়ন্ত্রণ না-থাকায় বেপরোয়া লরি চালানোর ফলে এই দুর্ঘটনা বলেও অভিযোগ ওঠে। দুর্ঘটনার জেরে দিল্লি রোড পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে যায়। পুলিশি গাফিলতির কারণে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় মানুষ। পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগও ওঠে। দুর্ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। টোটো চালকের আর্থিক সাহায্যের দাবি করছেন স্থানীয়রা। এরপরই দুর্ঘটনাস্থলে চন্দননগর পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা রওনা দিয়েছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, এক চিকিৎসকের পরিবার ছিল টোটোটিতে। তাঁরা হলেন, স্থানীয় ভূষণ স্টিল কোম্পানির চিকিৎসক ঋষিকেশ সিংয়ের স্ত্রী (40), তাঁদের বড় মেয়ে (16) ৷ বছর নয়ের ছোট মেয়ে আহত হয়ে ভরতি হাসপাতালে ৷ পরে কলকাতায় তাকে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ মৃত টোটো চালক শেখ হাসমত আলি ৷ ঘটনায় আরও একজনের প্রাণ গিয়েছে।
স্থানীয় ও টোটো চালকের আত্মীয় শেখ নজরুল বলেন, "এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী ট্রাফিক পুলিশ। আমরা চাই গাড়ির মালিক এসে আর্থিক সাহায্য দাবি করছি। টোটো চালকের পারিবারিক অবস্থা খুবই খারাপ। একটি ছোট সন্তান আছে। এবার সংসার কীভাবে চলবে। প্রশাসনের কাছে আমরা বিচার চাই।"
আরও পড়ুন: