দুর্গাপুর, 24 এপ্রিল: বেশ কয়েকদিন ধরেই নির্বাচনী জনসভাগুলিতে হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নন, হামলা হতে পারে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেও ৷ প্রাণহানীরও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের এহেন আশঙ্কা প্রকাশের পরেই এবার আরও জমাট হল তাঁর নিরাপত্তা ৷
বুধবার গলসি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত তিলডাঙা ময়দানে সভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ৷ বর্ধমান-দুর্গাপুর ও বর্ধমান পূর্ব, দুই লোকসভা কেন্দ্রের জোড়া প্রার্থীর সমর্থনে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কীর্তি আজাদ ও ডা: শর্মিলা সরকারের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভাস্থলে দেখা গেল নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি ।
নিরাপত্তার চিত্র বদল:
এতদিন পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের সভ্য-সমর্থকরা অবাধে দলনেত্রীর জনসভায় প্রবেশ করতেন । কিন্তু এবার 6টি গেট দিয়ে সভাস্থলে প্রবেশের ছাড়পত্র মিলল । 6টি গেটেই বসানো হয়েছে মেটাল ডিটেক্টর । মঞ্চে এবং তার পাশে বুধবার সকাল থেকে দফায় দফায় পুলিশ কুকুর এবং বোমা নীরিক্ষণ যন্ত্র দ্বারা পরীক্ষা করা হয় ।
তিলডাঙা ময়দানে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় । এই বিধানসভা কেন্দ্রের একদিকে রয়েছে পানাগড় শিল্প তালুক ৷ দামোদরের তীরবর্তী এলাকাগুলি কৃষি সমৃদ্ধ । তাই এই জনসভায় শ্রমিক এবং কৃষক শ্রেণীর ভিড় লক্ষ্য করা যায় । কঠোর নিরাপত্তা দেখে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকেরাও জানালেন, ‘‘দলনেত্রী এবং নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র চলছে । আমরা মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে দেখে খুশি হলাম ।’’
অন্যদিকে, কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ ৷ বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘‘কখনও উনি নিজেকে মহিলা বলে কান্নাকাটি করেন । কখনও ভাইপোর উপর আক্রমণের কথা বলেন । সন্ত্রাসবাদীদের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হল এই রাজ্য । তৃণমূলীদের উপর সন্ত্রাসবাদীদের হামলা ? মাথা খারাপ । সিমপ্যাথেটিক ভোট আদায়ের জন্য এসব নাটক করছেন মুখ্যমন্ত্রী ।’’
আরও পড়ুন: