কলকাতা, 30 সেপ্টেম্বর: শিয়ালদা আদালতে আবারও তোপের মুখে সিবিআই । আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে হেফাজতে নিতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই আবেদনে পদ্ধতিগত ত্রুটি থেকে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হন বিচাররতি। একটা সময় তাঁকে বলতে শোনা যায়, আপনারা (সিবিআই) সন্দীপকে পুলিশ হেফাজতে বা জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন পর্যন্ত করেননি । তাহলে অভিযুক্তর জামিন পাওয়া উচিত !
জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সোমবার এই ঘটনার দুই অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করে সিবিআই । গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী জানান, তদন্ত ঠিক করে এগিয়ে নিয়ে যেতে এই দু'জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা কপতে হবে। তার জন্য হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন । প্রথম আবেদনে ভুল থাকায় সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁরা নতুন করে আবেদন করবেন । আদালত তাতে সম্মতি দেয় ।
সমস্যার শুরু এখান থেকেই। এই দ্বিতীয় পিটিশনেও ত্রুটি থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। এরপরই বিচারককে বলতে শোনা যায়, এখানে কোথাও লেখা নেই সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে সিবিআই কী করতে চায় । তাঁকে সিবিআই হেফাজতে রাখা হবে নাকি জেল হেফাজতে তার জন্য কোনও নির্দিষ্ট আবেদন করেনি । এরপরই ক্ষোভ উগরে দেন বিচারক । পাশাপাশি জানিয়েদেন ওই দু'জনকে জেরা করতে জেলে যেতে হবে সিবিআইকে । নির্দিষ্ট তারিখে জেলে গিয়ে জেরা করতে পারবেন সিবিআই আধিকারিকরা।
এদিকে, এদিন সরকারি হাসপাতালে সিসিটিভি বসাতে দেরি হওয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকদের জন্য পৃথক বিশ্রামাগার এবং শৌচালয় তৈরি করতে কেন দেরি হচ্ছে সেই প্রশ্নও করেছে শীর্ষ আদালত। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সিসিটিভি বাসানোর নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর। সেই মতো বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের 26 শতাংশ জায়গায় বসেছে সিসিটিভি। সুপ্রিম কোর্টে এমনই দাবি করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার । পাশাপাশি আরজি করে ঘটনায় অভিযুক্তদের সরকারি পদ থেকে অপসারণের দাবিও উঠেছে। এ ব্যাপারেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি 15 অক্টোবরের মধ্যে সিসিটিভি বসানোর প্রক্রিয়া শেষ করার কথাও বলেছে শীর্ষ আদালত।