ETV Bharat / state

কেন্দ্রীয় বাহিনী আসায় বন্ধ স্কুল, ক্ষুদ্ধ পর্ষদ ! সিলেবাস শেষ করা নিয়ে প্রশ্ন - কেন্দ্রীয় বাহিনী আসায় বন্ধ স্কুল

Central Force in West Bengal: রাজ্যে আসতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাদের থাকার জন্য ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সরকারি স্কুলে ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ যার জেরে শিকেয় উঠছে পঠন-পাঠন ৷

Etv Bharat
কেন্দ্রীয় বাহিনী আসায় বন্ধ স্কুল
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 1, 2024, 6:39 PM IST

Updated : Mar 1, 2024, 7:42 PM IST

রাজ্যে আসতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

কলকাতা, 1 মার্চ: সামনেই লোকসভা নির্বাচন ৷ রাজ্যে আসতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জানা গিয়েছে, বাহিনীদের থাকার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন স্কুল ৷ যার ফলে বন্ধ পঠন-পাঠন ৷ সিলেবাস শেষ হবে কীভাবে? পঠন-পাঠন নিয়ে শিক্ষামহলে উঠেছে প্রশ্ন।

শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী জানান, প্রথম পর্যায়ে ক্রমিক মূল্যায়ন এপ্রিলের প্রথমে ৷ তার আগে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা, স্পোর্টস, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এসবের বিভিন্ন কারণে পঠন-পাঠন ব্যাহত হয়। এরপর আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারও স্কুলগুলিকে বন্ধ রাখা হচ্ছে। তার ফলে সিলেবাস শেষ করা কঠিন হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখার জন্য সরকারি অডিটরিয়াম যাতে ব্যবহার করা হয়, সেই দাবিও নাকি চিঠি দিয়ে জানানো হবে ৷

সিলেবাস শেষ করার জন্য বাড়তি বিশেষ কোনও ক্লাসের ব্যবস্থা করবে কি পর্ষদ? পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "আমরা জানি না কোন স্কুল বন্ধ। অনির্দিষ্টকালের জন্য তো স্কুল বন্ধ করা যায় না। যদি এটা সত্যি হলে তাহলে অবশ্যই পড়াশোনায় একটা বিঘ্ন ঘটাবে। এই নিয়ে একটা পর্যালোচনা করতে হবে। যে স্কুলগুলোকে নেওয়া হয়েছে তার ভিত্তি কি জানি না। কিন্তু এই বাচ্চাগুলো কেন ভুক্তভোগী হবে? তবে রাজ্য সরকারি স্কুল যখন নেওয়া হয়েছে তাহলে নিশ্চয়ই কোনও আলাপ-আলোচনা করা হয়েছে। হয়তো কোথাও গিয়ে মনে হয়েছে রাজ্য সরকারের স্কুলগুলোতেই সুষ্ঠু পরিকাঠামো রয়েছে। তাই এই স্কুলগুলোকেই নেওয়া যায়। পর্ষদের সঙ্গে কোন অফিসিয়ালি কথা বলা হয়নি।"

উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে প্রবেশ করতে শুরু করেছে ৷ প্রথম পর্ব অর্থাৎ পয়লা মার্চ রাজ্যে এসেছে 100 কোম্পানির বাহিনী। দ্বিতীয় পর্বে অর্থাৎ 7 মার্চ রাজ্যে আসছে আরও 50 কোম্পানির বাহিনী। সবমিলিয়ে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে 150 কোম্পানির বাহিনী মোতায়েন থাকবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। এর মধ্যে কলকাতা এবং তার আশপাশে মোতায়েন থাকবে 10 কোম্পানির বাহিনী। কিন্তু এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকার জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি সরকারি স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে । যা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন ৷

প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে চলছিল মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। ফলে বহু স্কুল বন্ধ ছিল। গতকাল শেষ হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই এবার নিয়মিত পঠনপাঠন শুরু হওয়ার কথা স্কুলগুলির। কিন্তু সেই মুহূর্তেই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসায় বন্ধ হচ্ছে স্কুল। ফলে সিলেবাস শেষ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষক সংগঠন গুলি।

আরও পড়ুন

1. লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী এল জলপাইগুড়িতে, কাল শুরু রুটমার্চ

2. 'আজ অনেক কিছু বলার আছে আমার', 7 হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করে বার্তা মোদির

3. শিয়ালদা ডিভিশনে সোমবার পর্যন্ত বাতিল একাধিক লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেন

রাজ্যে আসতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

কলকাতা, 1 মার্চ: সামনেই লোকসভা নির্বাচন ৷ রাজ্যে আসতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জানা গিয়েছে, বাহিনীদের থাকার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন স্কুল ৷ যার ফলে বন্ধ পঠন-পাঠন ৷ সিলেবাস শেষ হবে কীভাবে? পঠন-পাঠন নিয়ে শিক্ষামহলে উঠেছে প্রশ্ন।

শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী জানান, প্রথম পর্যায়ে ক্রমিক মূল্যায়ন এপ্রিলের প্রথমে ৷ তার আগে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা, স্পোর্টস, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এসবের বিভিন্ন কারণে পঠন-পাঠন ব্যাহত হয়। এরপর আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারও স্কুলগুলিকে বন্ধ রাখা হচ্ছে। তার ফলে সিলেবাস শেষ করা কঠিন হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখার জন্য সরকারি অডিটরিয়াম যাতে ব্যবহার করা হয়, সেই দাবিও নাকি চিঠি দিয়ে জানানো হবে ৷

সিলেবাস শেষ করার জন্য বাড়তি বিশেষ কোনও ক্লাসের ব্যবস্থা করবে কি পর্ষদ? পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "আমরা জানি না কোন স্কুল বন্ধ। অনির্দিষ্টকালের জন্য তো স্কুল বন্ধ করা যায় না। যদি এটা সত্যি হলে তাহলে অবশ্যই পড়াশোনায় একটা বিঘ্ন ঘটাবে। এই নিয়ে একটা পর্যালোচনা করতে হবে। যে স্কুলগুলোকে নেওয়া হয়েছে তার ভিত্তি কি জানি না। কিন্তু এই বাচ্চাগুলো কেন ভুক্তভোগী হবে? তবে রাজ্য সরকারি স্কুল যখন নেওয়া হয়েছে তাহলে নিশ্চয়ই কোনও আলাপ-আলোচনা করা হয়েছে। হয়তো কোথাও গিয়ে মনে হয়েছে রাজ্য সরকারের স্কুলগুলোতেই সুষ্ঠু পরিকাঠামো রয়েছে। তাই এই স্কুলগুলোকেই নেওয়া যায়। পর্ষদের সঙ্গে কোন অফিসিয়ালি কথা বলা হয়নি।"

উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে প্রবেশ করতে শুরু করেছে ৷ প্রথম পর্ব অর্থাৎ পয়লা মার্চ রাজ্যে এসেছে 100 কোম্পানির বাহিনী। দ্বিতীয় পর্বে অর্থাৎ 7 মার্চ রাজ্যে আসছে আরও 50 কোম্পানির বাহিনী। সবমিলিয়ে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে 150 কোম্পানির বাহিনী মোতায়েন থাকবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। এর মধ্যে কলকাতা এবং তার আশপাশে মোতায়েন থাকবে 10 কোম্পানির বাহিনী। কিন্তু এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকার জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি সরকারি স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে । যা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন ৷

প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে চলছিল মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। ফলে বহু স্কুল বন্ধ ছিল। গতকাল শেষ হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই এবার নিয়মিত পঠনপাঠন শুরু হওয়ার কথা স্কুলগুলির। কিন্তু সেই মুহূর্তেই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসায় বন্ধ হচ্ছে স্কুল। ফলে সিলেবাস শেষ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষক সংগঠন গুলি।

আরও পড়ুন

1. লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী এল জলপাইগুড়িতে, কাল শুরু রুটমার্চ

2. 'আজ অনেক কিছু বলার আছে আমার', 7 হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করে বার্তা মোদির

3. শিয়ালদা ডিভিশনে সোমবার পর্যন্ত বাতিল একাধিক লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেন

Last Updated : Mar 1, 2024, 7:42 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.