কলকাতা, 22 মার্চ: অতীতেও বারবার তৃণমূল কংগ্রেসকে বলতে শোনা গিয়েছে বিজেপি ভোট বৈতরণী পার করতে ইডি, সিবিআই ও আইটির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে । বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেফতার হওয়ার পর একই সুর আরও একবার এ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের গলায় । যে ভাবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা করছে তৃণমূল কংগ্রেস ।
শুক্রবার রাতে এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়েন । আজ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির কড়া নিন্দা করেছেন । তাঁদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ বার কেজরিওয়াল নিয়ে সুর চাড়ালেন সৌগত রায় । তিনি বলেছেন, "সুপ্রিম কোর্টে আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি । গত পাঁচ বছর নিরন্তর ইডি এবং সিবিআইয়ের মতো তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে বিরোধীদের শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা চলেছে । আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি । আমাদের দল থেকে ইতিমধ্যেই এর নিন্দা করা হয়েছে ।"
এ দিন সৌগত রায় বলেন, "বিজেপি আসলে ইডি-সিবিআইয়ের মাধ্যমে ভোট করতে চাইছে । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মোট 12 বার ডেকে পাঠানো হয়েছে । অবশেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে ইডিকে ওকে ডাকা থেকে আটকেছে । সুতরাং এ তো চলছেই ।"
আবগারি দুর্নীতি মামলায় গতকাল রাতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি ৷ তার পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস থেকে শুরু সিপিএম ও কংগ্রেস-সহ বিরোধী নেতারা এর বিরুদ্ধে সরব হন ৷ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "আমরা একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে গ্রেফতার করার তীব্র বিরোধিতা করছি ৷ এখন আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি বলবৎ রয়েছে ৷ প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে ৷ এই অবস্থায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হল ৷ অন্য বিরোধী দলের প্রধানদেরও গ্রেফতার করা হচ্ছে, নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে ৷ এসব চললে ভারতের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কী তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায় ৷ আসুন আমরা সকলে মিলে গণতন্ত্রকে বাঁচাতে একজোট হই ৷"
আজ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির নিন্দা করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, "নির্বাচিত বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের ইচ্ছাকৃতভাবে নিশানা করা হচ্ছে এবং গ্রেফতার করা হচ্ছে । যেভাবে ইডি এবং সিবিআইয়ের তদন্তের আওতায় থাকা ব্যক্তিদের বিজেপির সঙ্গে যুক্ত থাকলে দায়মুক্তভাবে অসৎ আচরণ চালিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে সেটা গণতন্ত্রের উপর নির্মম আঘাত ।"
আরও পড়ুন: