ETV Bharat / state

'ঠিকাদারের থেকে যে কমিশন পাই...', কাটমানি নেওয়ার কথা স্বীকার শওকতের ! - CUT MONEY CONFESSION OF SAOKAT

নাম না-করে আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে কাটমানির টাকা পুরোপুরি আত্মসাৎ করার অভিযোগ ৷ কাটমানির টাকায় কম্বল বিতরণের কথাও স্বীকার ক্যানিং পূর্বের বিধায়কের ৷

CUT MONEY CONFESSION OF SAOKAT
কাটমানি খাওয়া নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার ৷ (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 13, 2024, 7:18 PM IST

ভাঙড়, 13 ডিসেম্বর: পঞ্চায়েত সমিতির কাজের জন্য ঠিকাদারদের থেকে কাটমানি নেন শওকত মোল্লা ! ভাঙড়ে বিজয়গঞ্জ বাজারে দলীয় সভায় এমনই স্বীকারক্তি শোনা গেল স্বয়ং ক্যানিং পূর্বের বিধায়কের মুখে ৷ আর তারপরেই ঘরে-বাইরে বেজায় অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস ৷

আগামী 15 ডিসেম্বর ভাঙড় 2 নম্বর ব্লকের বামনঘাটা অঞ্চলে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন রয়েছে ৷ তার আগে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়েছিল দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারের কার্যালয়ে ৷ সেখানেই নিজের জনদরদি ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা ৷

কাটমানি নেওয়ার কথা স্বীকার শওকতের ! (নিজস্ব ভিডিয়ো)

কিন্তু, হিতে বিপরীত হল ৷ বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন শওকত ৷ এমনকি তাঁর মন্তব্যে যে তৃণমূল অস্বস্তিতে পড়তে পারে, তা তিনি বা মঞ্চে উপস্থিত বাকি তৃণমূলের নেতারাও ঠাওর করে উঠতে পারলেন না ৷ অকপট স্বীকারক্তি তাঁর, যে পঞ্চায়েত সমিতির কাজের কমিশনের টাকায় কম্বল বিলি করছেন তিনি ৷

শওকত বলেন, "আমরা আমাদের সীমিত ক্ষমতায় চেষ্টা করি মানুষের পাশে থাকার ৷ একটা সময় আমাদের পঞ্চায়েত সমিতিতে ঠিকাদারদের থেকে যে পয়সা নেওয়া হত, তা একজন বা দু’জন ব্যক্তি নিয়ে চলে যেত ৷ এখন আর সেটা হয় না ৷ এখন আমরা যে কমিশন পাই ৷ তা যদি 5 পয়সাও কমিশন হয়, তাহলে সেখান থেকে গরিব মানুষকে কিছু না-কিছু কিনে দিই ৷"

এরই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, "এই যে 5 হাজার কম্বল আমরা বিতরণ করছি গরিব মানুষের মধ্যে ৷ এখানেও সেই কমিশনের টাকা আছে ৷ যেখান থেকে যা উঠে এসেছে, সেই কমিশনের টাকায় এই ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷" তাঁর এই মন্তব্যের জেরে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল ৷

শওকতের এই বেফাঁস মন্তব্যকে লুফে নিয়েছেন ভাঙড়ে তৃণমূলে তাঁর বিরোধী আরাবুল ইসলাম ৷ তিনি বলেন, "ওই ভদ্রলোক টাকা ছাড়া কিচ্ছু চেনেন না ৷ রাস্তা করার নামে কোটি-কোটি টাকা তুলেছেন ৷ গত বর্ষায় বাবু ছাতা কিনেছেন ৷ 50 টাকার ছাতা তিনি 200 টাকা দাম ধরেছেন ৷ আমি 10 লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছিলাম ৷ 2 লক্ষ টাকা খরচ করে নিজে বাকি টাকা পকেটে ভরেছেন ৷"

শুধু আরাবুল নন ৷ শওকত মোল্লার মন্তব্যের জেরে তৃণমূলকে নিশানা করতে ছাড়েনি বিরোধী বিজেপিও ৷ স্থানীয় বিজেপি নেতা অবনী মণ্ডল বলেন, "আমরা আগেই বলেছিলাম তৃণমূল কাটমানির দল ৷ এই সরকার কাটমানির সরকার ৷ এটা দেখে ভালো লাগল যে, তৃণমূলের বিধায়ক শওকত মোল্লা এখন নিজেই সেটা খোলাখুলি স্বীকার করে নিলেন ৷"

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভাঙড়ে প্রায় 3 কোটি টাকা খরচে তৈরি রাস্তার পিচের চাঙড় উঠে আসার ঘটনা ঘটেছিল ৷ অভিযোগ উঠেছিল, হাত দিয়ে টানলে রাস্তার পিচ উঠে আসছে ৷ সেখানেও শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ৷ এবার ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সেই অভিযোগেই যেন সিলমোহর দিলেন নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে ৷

ভাঙড়, 13 ডিসেম্বর: পঞ্চায়েত সমিতির কাজের জন্য ঠিকাদারদের থেকে কাটমানি নেন শওকত মোল্লা ! ভাঙড়ে বিজয়গঞ্জ বাজারে দলীয় সভায় এমনই স্বীকারক্তি শোনা গেল স্বয়ং ক্যানিং পূর্বের বিধায়কের মুখে ৷ আর তারপরেই ঘরে-বাইরে বেজায় অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস ৷

আগামী 15 ডিসেম্বর ভাঙড় 2 নম্বর ব্লকের বামনঘাটা অঞ্চলে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন রয়েছে ৷ তার আগে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়েছিল দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারের কার্যালয়ে ৷ সেখানেই নিজের জনদরদি ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা ৷

কাটমানি নেওয়ার কথা স্বীকার শওকতের ! (নিজস্ব ভিডিয়ো)

কিন্তু, হিতে বিপরীত হল ৷ বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন শওকত ৷ এমনকি তাঁর মন্তব্যে যে তৃণমূল অস্বস্তিতে পড়তে পারে, তা তিনি বা মঞ্চে উপস্থিত বাকি তৃণমূলের নেতারাও ঠাওর করে উঠতে পারলেন না ৷ অকপট স্বীকারক্তি তাঁর, যে পঞ্চায়েত সমিতির কাজের কমিশনের টাকায় কম্বল বিলি করছেন তিনি ৷

শওকত বলেন, "আমরা আমাদের সীমিত ক্ষমতায় চেষ্টা করি মানুষের পাশে থাকার ৷ একটা সময় আমাদের পঞ্চায়েত সমিতিতে ঠিকাদারদের থেকে যে পয়সা নেওয়া হত, তা একজন বা দু’জন ব্যক্তি নিয়ে চলে যেত ৷ এখন আর সেটা হয় না ৷ এখন আমরা যে কমিশন পাই ৷ তা যদি 5 পয়সাও কমিশন হয়, তাহলে সেখান থেকে গরিব মানুষকে কিছু না-কিছু কিনে দিই ৷"

এরই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, "এই যে 5 হাজার কম্বল আমরা বিতরণ করছি গরিব মানুষের মধ্যে ৷ এখানেও সেই কমিশনের টাকা আছে ৷ যেখান থেকে যা উঠে এসেছে, সেই কমিশনের টাকায় এই ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷" তাঁর এই মন্তব্যের জেরে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল ৷

শওকতের এই বেফাঁস মন্তব্যকে লুফে নিয়েছেন ভাঙড়ে তৃণমূলে তাঁর বিরোধী আরাবুল ইসলাম ৷ তিনি বলেন, "ওই ভদ্রলোক টাকা ছাড়া কিচ্ছু চেনেন না ৷ রাস্তা করার নামে কোটি-কোটি টাকা তুলেছেন ৷ গত বর্ষায় বাবু ছাতা কিনেছেন ৷ 50 টাকার ছাতা তিনি 200 টাকা দাম ধরেছেন ৷ আমি 10 লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছিলাম ৷ 2 লক্ষ টাকা খরচ করে নিজে বাকি টাকা পকেটে ভরেছেন ৷"

শুধু আরাবুল নন ৷ শওকত মোল্লার মন্তব্যের জেরে তৃণমূলকে নিশানা করতে ছাড়েনি বিরোধী বিজেপিও ৷ স্থানীয় বিজেপি নেতা অবনী মণ্ডল বলেন, "আমরা আগেই বলেছিলাম তৃণমূল কাটমানির দল ৷ এই সরকার কাটমানির সরকার ৷ এটা দেখে ভালো লাগল যে, তৃণমূলের বিধায়ক শওকত মোল্লা এখন নিজেই সেটা খোলাখুলি স্বীকার করে নিলেন ৷"

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভাঙড়ে প্রায় 3 কোটি টাকা খরচে তৈরি রাস্তার পিচের চাঙড় উঠে আসার ঘটনা ঘটেছিল ৷ অভিযোগ উঠেছিল, হাত দিয়ে টানলে রাস্তার পিচ উঠে আসছে ৷ সেখানেও শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ৷ এবার ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সেই অভিযোগেই যেন সিলমোহর দিলেন নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.