বোলপুর, 29 জানুয়ারি: শান্তিনিকেতনে ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহ থেকে ছাতিমতলা-রবীন্দ্রভবনের সামনে টোটো-চার চাকা গাড়ির দৌরাত্ম্য। ফলস্বরূপ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা হারানোর আশঙ্কা আশ্রমিক, প্রাক্তনী থেকে শুরু করে শান্তিনিকেতনবাসীর মধ্যে ৷ বিশ্বভারতীর কাছ থেকে রাজ্য সরকার এই রাস্তা নিয়ে নেওয়ার পরেই গজিয়ে উঠেছে টোটো ও গাড়ির স্ট্যান্ড। ফলে শান্তিনিকেতন থানা ও বোলপুর পৌরসভার নজরদারির অভাবে ব্যাপক যানজট ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে সেখানে। স্বাভাবিকভাবেই বিঘ্নিত হচ্ছে আশ্রমের পবিত্রতা ও পরিবেশ।
টোটো চালকদের দৌরাত্ম্যের জেরে এই রাস্তায় চলাচল করাও দায় হয়ে উঠেছে ৷ এখানেই আছে ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহ, ছাতিমতলা, রবীন্দ্রভবন সংগ্রহশালা ৷ অথচ এগুলির সামনে গজিয়ে উঠেছে টোটো ও চারচাকা গাড়ির স্ট্যান্ড। প্রশাসনের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই ৷ শান্তিনিকেতন থানা ও বোলপুর পৌরসভার উদাসীনতায় বিঘ্নিত হচ্ছে আশ্রমের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ৷ যদিও টোটো চালকদের কথায়, "আমাদের কোনও স্ট্যান্ড করে দেয়নি প্রশাসন বা বিশ্বভারতী। পর্যটকদের নিয়ে দাঁড়াব কোথায় ?"
এই অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে বোলপুর পৌরসভার 2 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর চন্দন মণ্ডল ৷ এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, "একথা ঠিক টোটো ও গাড়ির দৌরাত্ম্য ক্রমশই বাড়ছে। আমাদের নজরে এসেছে বিষয়টি ৷ দ্রুত সমাধান সূত্র বের করা হবে।" বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী নূরুল হক বলেন, "টোটো-গাড়ির যা দৌরাত্ম্যে তাতে নষ্ট হচ্ছে আশ্রমের পরিবেশ ৷ এভাবে চলতে থাকলে আমরা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা হারিয়ে ফেলব ৷ প্রশাসনের উচিৎ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া ৷"
সদ্য ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন। এই শান্তিনিকেতনে ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহ থেকে কালিসায়র পর্যন্ত রাস্তা বিশ্বভারতীকে দিয়েছিল রাজ্য সরকার ৷ কিন্তু তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এই রাস্তা জনসাধারণের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিলেন বিভিন্ন সময়ে ৷ এই অভিযোগের ভিত্তিতে রাস্তাটি বিশ্বভারতীর কাছ থেকে ফিরিয়ে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: