কলকাতা, 20 অক্টোবর: মহার্ঘ ভাতা-সহ একাধিক দাবিতে একাধিকবার অনশনে শামিল হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ । বর্তমানে প্রায় 1 বছর 9 মাস হতে চলল তাঁরা লাগাতার অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছে শহীদ মিনার মঞ্চে । সেখানেই জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে এবার দিনভর প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে সামিল হল তারা । এদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তারা প্রতীকী অনশন করে ।
শহীদ মিনার ময়দানে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের লাগাতার অবস্থান আন্দোলন চলছে । সেখানেই এদিন শ'খানেক মানুষকে দেখা গেল । অনেকেরই বুকে ব্যাজে লেখা, 'প্রতীকী অনশনকারী' । সঙ্গে লেখা, 'জাস্টিস ফর আরজি কর' । নিজেদের দাবি আদায়ে এর আগে তাঁরা তিন দফায় অনশনে বসেছিলেন ৷ এবার মূলত জুনিয়র চিকিৎসকদের আমরণ অনশন আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে তাঁরা প্রতীকী অনশনে সামিল হলেন ৷ তাঁদের তিনটি দাবি ৷ প্রথমটি হল, আরজি করের নির্যাতিতার বিচার ও জুনিয়র চিকিৎসকদের সমর্থন, দ্বিতীয় দাবি সরকারি দফতর থেকে থ্রেট কালচার বন্ধের আর তৃতীয় দাবিটি হল, অনৈতিক বদলি বন্ধ করা ৷
এদিন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, "জুনিয়র ডাক্তারবাবুরা যে দাবি নিয়ে লড়ছেন, তাঁদের সমর্থন করি । সরকারি বিভিন্ন বিভাগেও লক্ষ্যণীয় যে, যাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আওয়াজ তুলছেন, তাঁদের দক্ষিণ থেকে উত্তরবঙ্গে পাঠানো হচ্ছে । শুধু স্বাস্থ্য বিভাগে নয়, সব বিভাগে থ্রেট কালচারে জেরবার সাধারণ কর্মী থেকে এলাকার মানুষজন । কেউ প্রতিবাদী হলেই প্রকল্প বন্ধের হুঁশিয়ারি । ভোটের আগে ভোট দিতে যাবেন না বলা, ভোটের অধিকারে হস্তক্ষেপ, এটাও থ্রেট ।"
জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মানার সদিচ্ছা রাজ্য সরকারের নেই বলে দাবি করেন ভাস্কর ঘোষ ৷ তাঁর কথায়, "সদিচ্ছা নেই সরকারের ৷ সদিচ্ছা থাকলে শর্ত দিতেন না । যাঁরা শাসক নিয়ন্ত্রিত নন, সেই আন্দোলনের দিকে মুখ্যমন্ত্রী ফিরেও দেখেন না । দমাতে চান । তিনি জানেন যে, আমাদের ললিপপ দিয়ে ভোলাতে পারবেন না । তাই হস্তক্ষেপ করছেন না । মুখ্যমন্ত্রীর যা ভূমিকা, তাতে নবান্নে আলোচনায় গিয়েও হয়তো সুরাহা হবে না ৷"