সুভাষগ্রাম, 6 সেপ্টেম্বর: আরজি কর দুর্নীতি মামলায় কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে আটক করল ইডি ৷ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র হাতে আটক হয়ে প্রসূন জানান, "আমি যা জানতাম, সব বলেছি ৷" সুভাষগ্রামের বাড়ি থেকে প্রসূনকে সন্দীপের ক্যানিংয়ের বাংলোয় নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ সেখানে বিভিন্ন নথিপত্র দেখিয়ে আরও একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে ৷ ওই বাংলোতেও তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি-র আধিকারিকরা ৷
আরজি কর দুর্নীতির ঘটনায় আরও তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা ৷ সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন বিভাগের পাশাপাশি, আজ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আরজি করের তদন্তে নেমেছে ৷ আর প্রথম দিনেই দক্ষিণ 24 পরগনা সুভাষগ্রামের বাড়ি থেকে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পার্সোনাল অ্যাসিসট্যান্ট বলে পরিচয় দেওয়া প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে আটক করেছে ইডি ৷
প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে আটক করে ক্যানিংয়ে থাকা সন্দীপ ঘোষের 'সঙ্গীতা-সন্দীপ ভিলা' নামের বাংলোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ নথিপত্র সামনে রেখে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷ ইডি সূত্রে খবর, প্রসূন আগে কখনও সন্দীপের সঙ্গে এই বাংলোতে এসেছিলেন কি না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে ৷ পাশাপাশি, আর যাঁরা সন্দীপের এই বাংলোয় এসেছিলেন, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে ৷
ইডি সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যে সব দুর্নীতি চলছে, সেই সব দুর্নীতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের যোগ রয়েছে ৷ তদন্তকারীদের দাবি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ শুরুর পর থেকেই সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হয় প্রসূনের ৷ তখন থেকেই সন্দীপের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন প্রসূন চট্টোপাধ্যায় ৷ পরবর্তী সময়ে সন্দীপ ঘোষের হয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছেন এই সিএনএমসি-র ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ৷ এমনকি একাধিক সরকারি কাজের বরাত বেআইনিভাবে প্রসূনকে দিয়েছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ৷
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, সরকারি হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের যেসব ওষুধ আসতো, সেগুলি ও মেডিক্যাল সরঞ্জাম প্রসূন চট্টোপাধ্যায় বাইরে বিভিন্ন জায়গায় পাচার করতেন ৷ উল্লেখ্য, এই দুর্নীতি মামলায় ইডি আজ সকালে সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতেও হানা দিয়েছে ৷ কিন্তু, প্রায় আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর সন্দীপের বাড়িতে ঢুকতে পারেন ইডি আধিকারিকরা ৷ শুধু সন্দীপ ঘোষ নন, আরজি কর দুর্নীতি-কাণ্ডে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি।