কলকাতা, 2 জুন: ভোটের অনেক আগে থেকেই জ্বলছে সন্দেশখালি ৷ ভোটের শেষ দিনেও অবস্থা ছিল অগ্নিগর্ভ ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কয়েকটি অংশে 144 ধারা জারি করেছে প্রশাসন ৷ এ বার পালা ভোটের ফলপ্রকাশের ৷ তার পরে আবারও সন্দেশখালিতে কি জ্বলে উঠবে অশান্তির আগুন ? আতঙ্কে আছেন স্থানীয়রা ৷
আতঙ্কের পরিবেশ এখনও কাটেনি । ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে গতকাল সন্দেশখালির ন্যাজাট থানার বিভিন্ন অংশে ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে । খুলনা, বয়ারমারি, রাজবাড়ি, আগারহাটিতে সংঘর্ষ বাঁধে। জায়গায় জায়গায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে চাপা ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে । আর আছে ভয় ! ভোট তো মিটল । এবার কী হবে ? আগামী 4 জুন লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা । তাকে কেন্দ্র করে নতুন করে অশান্তি লাগতে পারে বলে আশাংকা প্রকাশ করছেন অনেকে ।
স্থানীয়দের আশংকা, বিজেপি বা তৃণমূল যে রাজনৈতিক দলই জিতুক না কেন, সন্দেশখালিতে বিভিন্ন জায়গায় আবার আক্রমণ নেমে আসতে পারে । যার ফলে, রক্তাক্ত হওয়া কিংবা প্রাণ সংশয়ের আশংকা থাকতে পারে । যা কখনওই কাম্য নয় । যদিও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বসিরহাটের সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। বিশেষ করে গতকাল ভোটকে কেন্দ্র করে যে সমস্ত জায়গায় অশান্তি বাধে, সেখানেই পুলিশি টহল জারি রয়েছে । কিন্তু, তারপরও স্থানীয়দের অনেকেই আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারছেন না ।
ধামাখালির জামাল উদ্দিন বলেন, "ভুল লোকেদের হাতে ক্ষমতা চলে যাওয়ায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে । মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে । রাজনীতিটাকে এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে, এক পড়শি অন্য পড়শিকে মারছে । ঘরছাড়া করছে । এমনটা কাম্য নয় । সন্দেশখালি-সহ কম বেশি সব জায়গার সংস্কৃতি শেষ করে দেওয়া হয়েছে । সেটাকে ফিরিয়ে এনে আবারও উন্নয়নের কাজ করতে হবে । রাজনৈতিক সৌজন্যতা দরকার । তাই, শান্তি ফিরুক আমরা সকলেই চাই ।"
রামপুরের বাসিন্দা রাজু বিশ্বাস বলেন, “তৃণমূল-বিজেপি যে দলই জিতুক নিজেদের ভালো থাকতে হবে । না-হলে সামান্য ভুল বোঝাবুঝিতে গরিব মানুষ ঘরছাড়া হবেন । অসহায়ের প্রাণ যাবে । শিশুদের উপর অত্যাচার হবে । নারীদের উপর অত্যাচার হবে । এই নোংরা রাজনীতি থামানো উচিত । মানুষকে বাঁচতে হবে । সন্তানদের বড়ো করতে হবে । শান্তি ফেরাতে হবে ।"