কলকাতা, 17 মার্চ: লোকসভা ভোট ঘোষণার দিনই মানিকতলা বিধানসভার উপনির্বাচন নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন প্রয়াত বিধায়ক সাধন পাণ্ডের কন্যা শ্রেয়া পাণ্ডে। এক্ষেত্রে বিজেপি থেকে নির্বাচন কমিশন, বিচারপতিকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। শ্রেয়ার কথায়, "উনি (বিচারপতি) কেসটা পিছিয়ে দিলে হয়ত, তিনি এখনকার প্রার্থী হয়ে যেতে পারেন ! আমি ঠিক বলতে পারব না।"
দেশের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে শনিবার। এর পাশাপাশি রাজ্যের ভগবানগোলা বিধানসভা ও বরানগর বিধানসভার উপনির্বাচনের নির্ঘণ্টও ঘোষণা হয়েছে। হয়নি শুধু মানিকতলা বিধানসভার উপনির্বাচনের তারিখ। প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় বিধায়কহীন এই বিধানসভা কেন্দ্র। বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবের দায়ের করা মামলা এখনও বিচারাধীন ৷ তাই এখনও এই বিধানসভার নির্বাচনের বিষয় আদালতের নির্দেশের oিকেই তাকিয়ে রয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আর এই ঘটনা নিয়েই বিজেপি থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন এমনকী বিচারপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মানিকতলা বিধানসভার প্রয়াত বিধায়ক সাধন পাণ্ডের মেয়ে তৃণমূলের বিধানসভা এলাকার আহ্বায়ক শ্রেয়া পাণ্ডে। এদিন শ্রেয়া পাণ্ডে বলেন, "নির্বাচন কমিশন কী করে বললেন যে, বাকি থাকা সব বিধানসভা ঘোষণা করব। মানিকতলা কি দেশের বাইরে ? সব জায়গায় হচ্ছে উপনির্বাচন। একমাত্র মানিকতলা দু-বছরের বেশি সময় হয়ে গেল নির্বাচন হয়নি।" বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে এই মামলাটি করেছিলেন। তিনি দাবি করেছেন, "এখানে পুনর্গণনা না করে তাঁকে যাতে বিধায়ক ঘোষণা করা হয়। কেউ ইস্তফা দিলে ভিন্ন কথা তবে একজন মৃত মানুষের উপর মামলা চলতে পারে এটা হাস্যকর। যারা হাইকোর্টে আছেন তারা তারিখের পর তারিখ দিচ্ছেন। 24টা শুনানি শুনেছি। বিচারপতি তারিখের পর তারিখ দিয়ে যান, বলে যান পরের দিন শুনব। মাঝে মধ্যে ছুটি থাকে, মাঝে মধ্যে কল্যাণ চৌবে আসে না। এই মামলার জেরে অসুস্থ বাবার হাসপাতালে থাকাকালীন টিপ সই নিতে হয়। হাসপাতাল থেকে বারে বারে চিকিৎসক বলেন এই মামলা উনি (অসুস্থ সাধন পাণ্ডে) লড়তে পারবেন না। তবু এই মামলা বাতিল হয় না।"
এরপর কার্যত বিরক্তির সুরেই তিনি বলেন, "বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বেশি কিছু না বলা ভালো। আমরা যা দেখছি। হয়ত কেউ আবার প্রার্থী হয়ে যেতে পারেন। কারণ একটা বেঞ্চেই বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে মামলাটা। আগে আমরা বিচারপতি নিয়ে কথা বলতে পারতাম না। এখন উদাহরণ আছে বলতে পারব। উনি হয়ত এই কেস পিছিয়ে দিলে পরে উনি হয়ত এখনকার প্রার্থী হয়ে যেতে পারেন যে এখন বিচারপতি। হয়ত বিচারপতি এম এল এ আসনে দাঁড়াতে পারেন, আমি ঠিক বলতে পারব না।"