ETV Bharat / state

দু-পক্ষের স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হোক, সুপ্রিম-শুনানির আগে বললেন নির্যাতিতার বাবা-মা - KOLKATA RAPE AND MURDER CASE

Kolkata Doctor Rape and Murder Case: মঙ্গলবার ফের আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে। তার আগে আন্দোলনরত ছাত্র এবং সরকারের মধ্যে যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে চলছে তা শেষ হোক, সেটাও চাইছেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা।

RG Kar Rape Murder Case
সুপ্রিম শুনানির আগে বললেন নির্যাতিতার বাবা-মা (ফাইল ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 16, 2024, 7:12 PM IST

সোদপুর, 16 সেপ্টেম্বর: দু'পক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় হোক ! সুপ্রিম কোর্টের শুনানির আগের দিন কার্যত কাতর আর্জি জানালেন আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা ৷ আন্দোলনরত ছাত্র এবং সরকারের মধ্যে যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে চলছে তা শেষ হোক, সেটাও চাইছেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা।আগামিকাল মঙ্গলবার ফের আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। তার আগে সোমবার এই বিষয়ে নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা বলেন, "সুপ্রিম কোর্ট ও সিবিআইয়ের উপর আমাদের ভরসা রয়েছে। আশা করছি, ন‍্যায়বিচার পাব।"

উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে এদিন বিকাল পাঁচটায় আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের ডাকা হয় বৈঠকের জন্য। এই মর্মে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ইমেল করেন জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে। বৈঠকের আগে সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, "চিকিৎসক পড়ুয়ারা আমার ছেলেমেয়ের মতো। তাঁরা আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে কষ্ট করে লড়াই করছেন। এটা দেখে আমাদেরও কষ্ট হচ্ছে ৷ আলোচনা করে কিছু একটা সমাধান বের হোক। সেটাই আমরা চাই।"

একই সুর শোনা গিয়েছে নির্যাতিতার মায়ের গলাতেও। তাঁর কথায়, "স্বচ্ছতার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ওঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসে দাবি দাওয়া মেনে নিন, এটাই চাইব।" বারবার বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, "যতবার বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে, ততবার আমরা দুঃখ পেয়েছি।" তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন টালা থানার ওসি। সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা বলেন, "এই অভিযোগ আমরা প্রথম থেকেই করে এসেছি। আমরা আমাদের সাধারণ বুদ্ধিতে যতটুকু দেখেছি, সেটা হয়তো সিবিআইও বুঝেছে। সবদিক বিচার করেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।"

এদিন ফের নির্যাতিতার দেহ দ্রুত সৎকারের অভিযোগ করে পুলিশ প্রশাসনকে নিশানা করেছেন নির্যাতিতার পরিবার। এই প্রসঙ্গে নির্যাতিতার মা বলেন, "ঘটনার দিন মেয়ের দেহ সৎকার করতে চাইনি আমরা। চেয়েছিলাম মৃতদেহ সংরক্ষণ করে রাখার জন্য। দেহ সংরক্ষন করতে চেয়ে টালা থানায় গিয়েছিলাম। তখন আমাদের কোনও সহযোগিতা করা হয়নি। উল্টে, আমাদের ওপর ভীষণভাবে চাপ তৈরি করা হয়েছে।" এরপরই নির্যাতিতার বাবা বলেন, "তখন দুশো-তিনশো পুলিশ আমাদের ঘিরে রেখেছে। আর আমরা সবমিলিয়ে তিন থেকে চারজন। কী করব তখন ? কেন এমনটা করেছে সেই উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার হয়নি।"

সোদপুর, 16 সেপ্টেম্বর: দু'পক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় হোক ! সুপ্রিম কোর্টের শুনানির আগের দিন কার্যত কাতর আর্জি জানালেন আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা ৷ আন্দোলনরত ছাত্র এবং সরকারের মধ্যে যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে চলছে তা শেষ হোক, সেটাও চাইছেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা।আগামিকাল মঙ্গলবার ফের আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। তার আগে সোমবার এই বিষয়ে নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা বলেন, "সুপ্রিম কোর্ট ও সিবিআইয়ের উপর আমাদের ভরসা রয়েছে। আশা করছি, ন‍্যায়বিচার পাব।"

উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে এদিন বিকাল পাঁচটায় আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের ডাকা হয় বৈঠকের জন্য। এই মর্মে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ইমেল করেন জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে। বৈঠকের আগে সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, "চিকিৎসক পড়ুয়ারা আমার ছেলেমেয়ের মতো। তাঁরা আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে কষ্ট করে লড়াই করছেন। এটা দেখে আমাদেরও কষ্ট হচ্ছে ৷ আলোচনা করে কিছু একটা সমাধান বের হোক। সেটাই আমরা চাই।"

একই সুর শোনা গিয়েছে নির্যাতিতার মায়ের গলাতেও। তাঁর কথায়, "স্বচ্ছতার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ওঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসে দাবি দাওয়া মেনে নিন, এটাই চাইব।" বারবার বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, "যতবার বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে, ততবার আমরা দুঃখ পেয়েছি।" তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন টালা থানার ওসি। সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা বলেন, "এই অভিযোগ আমরা প্রথম থেকেই করে এসেছি। আমরা আমাদের সাধারণ বুদ্ধিতে যতটুকু দেখেছি, সেটা হয়তো সিবিআইও বুঝেছে। সবদিক বিচার করেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।"

এদিন ফের নির্যাতিতার দেহ দ্রুত সৎকারের অভিযোগ করে পুলিশ প্রশাসনকে নিশানা করেছেন নির্যাতিতার পরিবার। এই প্রসঙ্গে নির্যাতিতার মা বলেন, "ঘটনার দিন মেয়ের দেহ সৎকার করতে চাইনি আমরা। চেয়েছিলাম মৃতদেহ সংরক্ষণ করে রাখার জন্য। দেহ সংরক্ষন করতে চেয়ে টালা থানায় গিয়েছিলাম। তখন আমাদের কোনও সহযোগিতা করা হয়নি। উল্টে, আমাদের ওপর ভীষণভাবে চাপ তৈরি করা হয়েছে।" এরপরই নির্যাতিতার বাবা বলেন, "তখন দুশো-তিনশো পুলিশ আমাদের ঘিরে রেখেছে। আর আমরা সবমিলিয়ে তিন থেকে চারজন। কী করব তখন ? কেন এমনটা করেছে সেই উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার হয়নি।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.