কলকাতা, 21 সেপ্টেম্বর: টানা 42 দিন পর ফের পুরনো ছন্দে ফিরে গেলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। গলার স্টেথো ঝুলিয়ে ছুরি কাঁচি ধরে আবারও রোগী পরিষেবায় ব্যস্ত আন্দোলনকারীরা। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসল বিভিন্ন সরকারি মেডিক্য়া কলেজগুলি থেকে। শনিবার কাজে ঢুকেই একাধিক অস্ত্রোপচার করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আরজি করের আন্দোলনের মুখরাও এদিন মাইক ছেড়ে ছুরি-কাঁচি ধরে সেরে ফেললেন দুটো অপারেশন। সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক লহরী সরকার ও রক্তিম মজুমদারের সঙ্গে অ্যাস্থেসিয়া বিভাগে ছিলেন অনিকেত মাহাতো।
আরজি কর হাসপাতালে শনিবার দুটি অস্ত্রোপচার হয় জরুরী ভিত্তিতে। তার মধ্যে একজনের 'অবস্ট্রাকশন আমবিলিক্যাল হার্নিয়া'। অন্য আরও একজনের অ্যাপেনডিক্স অপারেশন হয়েছে। এছাড়াও এদিন আরজিকর মেডিক্য়াল কলেজে জরুরি বিভাগে এসেছেন প্রায় 100 জন। নাতিকে সঙ্গে নিয়ে টালা থেকে এসেছেন এক বৃদ্ধা। তিনি বলেন, "বাড়িতে খেলতে গিয়ে আমার নাতি পড়ে যায়। মাথা ফেটে যায় ওর। তৎক্ষণাৎ আমরা আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ডাক্তার দেখে সেলাই করে দিয়েছেন। দেখলাম জুনিয়র চিকিৎসকরাও আজকে কাজে যোগ দিয়েছেন। তারা আমার নাতিকে দেখেছেন।"
তবে শুধু আরজিকর মেডিক্য়াল কলেজ নয়, কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজ-সহ রাজ্যের প্রত্যেকটি মেডিক্য়াল কলেজে একই ছবি। কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে শনিবার রাত আটটা পর্যন্ত সব বিভাগ মিলিয়ে অস্ত্রোপচার হয়েছে প্রায় 222টি। যার মধ্যে জরুরি বিভাগেও বেশ কিছু অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে মেডিক্য়াল কলেজের রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় 342 জন। জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে যোগ দেওয়ায় স্বস্তি দেখা যাচ্ছে প্রতিটি মেডিক্য়াল কলেজে।