ETV Bharat / state

ধর্ষণমুক্ত সমাজ গড়তে আরজি করে প্রতিবাদের মাধ্যম গ্রাফিতি - Graffiti Message in RG Kar Hospital

Rape-free Society Messages Through Graffiti in RG Kar Hospital: করোনার মতো ধর্ষণও একটি মহামারি ৷ আর এই মহামারিকে শেষ করতে আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের হাতিয়ার গ্রাফিতি ৷ হাসপাতালের দেওয়ালে করোনা সচেতনতায় লেখা গ্রাফিতি বদলে গেল, ধর্ষণমুক্ত সমাজের বার্তা ও প্রতিবাদে ৷

Graffiti in RG Kar Hospital
ধর্ষণমুক্ত সমাজ গড়তে আরজি করের প্রতিবাদের মাধ্যম গ্রাফিতি ৷ (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 1, 2024, 10:12 PM IST

কলকাতা, 1 সেপ্টেম্বর: 2020 সালের মার্চ মাস। পৃথিবীর বাকি দেশগুলির মতো ভারতেও থাবা বসিয়েছিল মারণ ভাইরাস করোনা ৷ পুরো পৃথিবী ছিল ঘরবন্দি ৷ তবে, সময় ও পরিস্থিতির সঙ্গে মানুষ লড়াই করেছে ৷ মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখা, স্যানিটাইজ করা- শিখেছে সবই ৷ এমন নানা নিয়ম মেনে চলেছে সভ্য সমাজ ৷ সেই লড়াইয়ে মানুষ একে অপরকে পাশে পেয়েছে ৷ ধীরে ধীরে চারবছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে আমরা আবারও, খোলা হাওয়ায় শ্বাস ফেলছি ৷

ধর্ষণমুক্ত সমাজ গড়তে আরজি করের প্রতিবাদের মাধ্যম গ্রাফিতি ৷ (ইটিভি ভারত)

কিন্তু, এই চারবছরে সমাজ থেকে সরানো যায়নি ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মতো 'মহামারী'-কে ৷ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা, চোখে আঙুল দিয়ে তা দেখিয়ে দিয়েছে ৷ চারবছর আগে মানুষকে করোনা থেকে বাঁচাতে ও সতর্ক করতে আরজি করের জুনিয়র ডাক্তাররা উদ্যোগী হয়েছিলেন ৷ দেওয়াল লিখন বা গ্রাফিতির মাধ্যমে হাসপাতালে আসা সকল রোগী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্য়দের সচেতন করেছিলেন ৷ দেওয়ালে ফুটে উঠেছিল রং-বে রংয়ের সচেতনতার বার্তা ৷

এবার সেই জুনিয়র ডাক্তাররা ধর্ষণ ও ধর্ষক মুক্ত সমাজ তৈরির লক্ষ্যে, হাতিয়ার করল গ্রাফিতিকে ৷ করোনা মহামারীর সেই গ্রাফিতি তাই বদলে গেল ধর্ষণ, ধর্ষক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষায় ৷ করোনার সময় লেখা বিভিন্ন গ্রাফিতির বিশেষ কিছু শব্দ মুছে দেওয়া হয়েছে ৷ সেখানে জায়গা পেয়েছে ধর্ষণ, দুর্নীতি ও তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা ৷ রয়েছে এক সভ্য সমাজ গঠনের ডাক ৷ যেখানে মহিলাদের সম্মানহানি হবে না ৷ যে সমাজে মহিলাদের সম্মানের কথা মুখে বলতে বা মনে করিয়ে দিতে হবে না ৷

এ-বিষয়ে এক আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার সাগুফতা ইয়াসমিন বলেন, "2020 সালে করোনা এক বড় ব্যাধি ছিল ৷ সেই সময় তাই কোভিড নিয়ে যাবতীয় তথ্য তখন দেওয়ালে গ্রাফিতির মাধ্যমে তুলে ধরা হয় ৷ আর এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় ব্যাধির নাম ধর্ষণ ৷ মেয়েরা বাড়িতে, বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে, তাঁর নিজস্ব কর্মস্থলে কোথাও সুরক্ষিত নন ৷ আরজি করে ধর্ষণের ঘটনা শুধু চিকিৎসকদের জন্য নয়, সমাজের প্রতিটা মেয়ের কাছে আতংকের ৷ আর এর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ ৷ আর বলাই হয় প্রতিবাদের সবথেকে বড় মাধ্যম হল আর্ট ৷ এই আর্টের মাধ্যমে আমরা প্রতিবাদকে মানুষের কাছে তুলে ধরছি ৷ যে সমস্ত রোগীরা আরজি করে আসেন, যাতে তাঁরাও এই দেওয়াল লিখন দেখে, আমাদের প্রতিবাদের ভাষা বুঝতে পারেন ৷ তাই এই চেষ্টা ৷ তখন ব্যাধি ছিল করোনা, এখন ব্যাধি দুর্নীতি-ধর্ষণ ৷ তাই দেওয়াল লিখনেও এই বদল ৷"

কলকাতা, 1 সেপ্টেম্বর: 2020 সালের মার্চ মাস। পৃথিবীর বাকি দেশগুলির মতো ভারতেও থাবা বসিয়েছিল মারণ ভাইরাস করোনা ৷ পুরো পৃথিবী ছিল ঘরবন্দি ৷ তবে, সময় ও পরিস্থিতির সঙ্গে মানুষ লড়াই করেছে ৷ মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখা, স্যানিটাইজ করা- শিখেছে সবই ৷ এমন নানা নিয়ম মেনে চলেছে সভ্য সমাজ ৷ সেই লড়াইয়ে মানুষ একে অপরকে পাশে পেয়েছে ৷ ধীরে ধীরে চারবছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে আমরা আবারও, খোলা হাওয়ায় শ্বাস ফেলছি ৷

ধর্ষণমুক্ত সমাজ গড়তে আরজি করের প্রতিবাদের মাধ্যম গ্রাফিতি ৷ (ইটিভি ভারত)

কিন্তু, এই চারবছরে সমাজ থেকে সরানো যায়নি ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মতো 'মহামারী'-কে ৷ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা, চোখে আঙুল দিয়ে তা দেখিয়ে দিয়েছে ৷ চারবছর আগে মানুষকে করোনা থেকে বাঁচাতে ও সতর্ক করতে আরজি করের জুনিয়র ডাক্তাররা উদ্যোগী হয়েছিলেন ৷ দেওয়াল লিখন বা গ্রাফিতির মাধ্যমে হাসপাতালে আসা সকল রোগী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্য়দের সচেতন করেছিলেন ৷ দেওয়ালে ফুটে উঠেছিল রং-বে রংয়ের সচেতনতার বার্তা ৷

এবার সেই জুনিয়র ডাক্তাররা ধর্ষণ ও ধর্ষক মুক্ত সমাজ তৈরির লক্ষ্যে, হাতিয়ার করল গ্রাফিতিকে ৷ করোনা মহামারীর সেই গ্রাফিতি তাই বদলে গেল ধর্ষণ, ধর্ষক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষায় ৷ করোনার সময় লেখা বিভিন্ন গ্রাফিতির বিশেষ কিছু শব্দ মুছে দেওয়া হয়েছে ৷ সেখানে জায়গা পেয়েছে ধর্ষণ, দুর্নীতি ও তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা ৷ রয়েছে এক সভ্য সমাজ গঠনের ডাক ৷ যেখানে মহিলাদের সম্মানহানি হবে না ৷ যে সমাজে মহিলাদের সম্মানের কথা মুখে বলতে বা মনে করিয়ে দিতে হবে না ৷

এ-বিষয়ে এক আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার সাগুফতা ইয়াসমিন বলেন, "2020 সালে করোনা এক বড় ব্যাধি ছিল ৷ সেই সময় তাই কোভিড নিয়ে যাবতীয় তথ্য তখন দেওয়ালে গ্রাফিতির মাধ্যমে তুলে ধরা হয় ৷ আর এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় ব্যাধির নাম ধর্ষণ ৷ মেয়েরা বাড়িতে, বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে, তাঁর নিজস্ব কর্মস্থলে কোথাও সুরক্ষিত নন ৷ আরজি করে ধর্ষণের ঘটনা শুধু চিকিৎসকদের জন্য নয়, সমাজের প্রতিটা মেয়ের কাছে আতংকের ৷ আর এর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ ৷ আর বলাই হয় প্রতিবাদের সবথেকে বড় মাধ্যম হল আর্ট ৷ এই আর্টের মাধ্যমে আমরা প্রতিবাদকে মানুষের কাছে তুলে ধরছি ৷ যে সমস্ত রোগীরা আরজি করে আসেন, যাতে তাঁরাও এই দেওয়াল লিখন দেখে, আমাদের প্রতিবাদের ভাষা বুঝতে পারেন ৷ তাই এই চেষ্টা ৷ তখন ব্যাধি ছিল করোনা, এখন ব্যাধি দুর্নীতি-ধর্ষণ ৷ তাই দেওয়াল লিখনেও এই বদল ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.