কলকাতা, 20 অগস্ট: গত 14 অগস্ট রাতে মহিলাদের রাত দখলের কর্মসূচির দিন আচমকাই আরজি কর হাসপাতালে তাণ্ডব চালায় একদল 'বহিরাগত' ৷ ঘটনায় এবার বড়সড় পদক্ষেপ করল লালবাজার। পুলিশি ব্যর্থতার অভিযোগ এনে এবার কলকাতা পুলিশের দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার এবং ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিককে বরখাস্ত করল লালবাজার।
এই বিষয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক বলেন, "ঘটনার দিন এই দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার এবং ইন্সপেক্টরের দায়িত্ব, চাপ প্রচুর ছিল। তাঁরা সময় মতো নিজেদের কর্তব্য করতে সক্ষম হয়নি।"
ইতিমধ্যেই গভীর রাতে হাসপাতালে তাণ্ডবের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত 37 জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। আরজিকর কাণ্ডে তাণ্ডবের ঘটনায় আলাদা করে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম তৈরি করেছে কলকাতা পুলিশ। মূলত, এই বিশেষ দলে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা।
তবে, পুলিশি ব্যর্থতার অভিযোগ পুলিশকর্মীদের বরখাস্তের সিদ্ধান্তে নিচু তলার পুলিশকর্মীরা একেবারেই খুশি নন। তাঁদের মতে, সিদ্ধান্ত কলকাতা পুলিশের মহল উচ্চ পদে থাকা আধিকারিকরা নেন। এখানে নিচু তলার পুলিশকর্মীদের কোনও মতামত বা সিদ্ধান্ত চলে না । তাঁরা শুধু নির্দেশ মেনে কাজ করেন । আর কাজ করতে গেলে ভুল-ত্রুটি হয় এবং সেই দায় উচ্চপদস্থ আধিকারিকদেরই নেওয়া উচিত । তা না করে এবার কলকাতা পুলিশের দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার এবং ইন্সপেক্টরকে বরখাস্ত করার ঘটনায় রীতিমত ক্ষুব্ধ পুলিশেরই একাংশ।
ইতিমধ্যেই আদালত থেকেও এই প্রশ্ন উঠেছে ৷ কোথাও জ্বর হলে তার খবর লালবাজারে আসে। যেখানে রাতে মহিলারা রাস্তায় নেমেছিলেন, সেই সময় আচমকাই বাইরে থেকে এত লোক এসে একটি সরকারি হাসপাতাল এইভাবে ভাঙচুর করবে আর তার কোনও আগাম তথ্য লালবাজারের কাছে নেই, বিষয়টি অত্যন্ত চিন্তার ! এরপরেই আজ বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।