দুর্গাপুর, 31 জুলাই: প্রায় এক কিলোমিটার কোনও রাস্তাই নেই। নেই কোনও আলোর ব্যবস্থাও ৷ কোনও পাকা রাস্তা না থাকায় বর্ষায় কার্যত নাভিশ্বাস ওঠে এলাকাবসীর। কাদা রাস্তা হয়েই এলাকার মানুষদের পানীয় জল আনতে হয় অনেক দূর থেকে। আর এলাকায় আলোর অভাবে অন্ধকার নামলেই বাড়িতে ঢুকে পড়ে সাপ-ব্যাঙ। আর এবার পাকা রাস্তার দাবিতে বিক্ষোভে সরব হলেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷
কাঁকসার মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গাপাড়া থেকে বেসরকারি কলেজ মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা আজও কাঁচা। প্রায় কয়েকশো মানুষের বসবাস। কিন্তু কোনও রাস্তা না থাকার কেউ অসুস্থ হলে রীতিমতো চ্যাংদোলা করে নিয়ে যেতে হচ্ছে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোট পেরোতেই চুপ করে গিয়েছেন নির্বাচিত সদস্যরা। আর পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বুধবার সকালে কাদা রাস্তায় দাঁড়িয়েই বিক্ষোভে নামলো এলাকাবাসীরা। বিক্ষোভের জেরে মৃদু উত্তেজনাও ছড়ায় এলাকায়। এরপরই অবশ্য দ্রুত পাকা রাস্তার কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। পালটা শাসকের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরাও।
নীলা লোহার নামে এক বিক্ষোভকারীর অভিযোগ , "পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হাত জোড় করে সদস্যরা এলাকায় আসত। পাকা রাস্তা, রাস্তার আলো আর পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিত। কিন্তু আজ তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। আমরা বলতে গেলে কেউ বলছে রাস্তা হবে, আর কেউ বলছে হবে না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি।"
মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পাকুমনি সরেন অবশ্য এদিন বলেন, "স্থানীয়রা আমাদের কাছে রাস্তার জন্য দাবি জানিয়েছেন। আমরা ওই এলাকায় দ্রুত পাকা রাস্তা নির্মাণের পাশাপাশি পথবাতি এবং পানীয় জলের সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব।" পালটা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি ৷ দলের সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক ভগীরথ ঘোষ বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার অবস্থা বেহাল। দেখেই বোঝা যাচ্ছে রাজ্যের কী উন্নয়ন হচ্ছে ! দ্রুত রাস্তা নির্মাণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে আমরাও হাঁটব।"